জয়নগর ঘটনায় ময়নাতদন্ত হবে কল্যাণীর এইমসে, জুড়তে হবে পক্সো ধারা: কলকাতা হাইকোর্ট

Spread the love

 জয়নগর ঘটনায় ময়নাতদন্ত হবে কল্যাণীর এইমসে, জুড়তে হবে পক্সো ধারা: কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

রবিবার জরুরি ভিক্তিক মামলা শুনলো কলকাতা হাইকোর্ট।সেইসাথে রাজ্যের উচ্চ আদালত দিল একগুচ্ছ নির্দেশ। জয়নগরকাণ্ডে মৃতার বাবার দুই আবেদন নিয়ে  কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য পুলিশ। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো এদিন  দুপুর ২টোয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এদিন সওয়াল-জবাব পর্বে বিচারপতি জানান , ‘ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ইনকোয়েস্টে কিছু বোঝা গেছে? কখন ইনকোয়েস্ট হয়েছে? এখানে পকসো নেই কেন? ১০ বছর বয়স নির্যাতিতার। স্বাভাবিকভাবেই পকসোতে মামলা হওযার কথা।’রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল  কিশোর দত্ত জানান, ‘পুলিশ আলাদা করে আবেদন করে পকসো যুক্ত করে নেবে মামলায়। ম্যাজিস্ট্রেট কাছে আবেদন করেছিলাম পরিবারের দাবি মেনে ময়নাতদন্ত ও নিরপেক্ষ তদন্তের। ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ আইও কে আইন মেনে ময়নাতদন্ত করার। ১০ বছরের মেযে, বাড়ি ফিরছিলো। সেই সময় পরিবার অভিযোগ করে টিউশন পড়তে গেছিলো সম্ভবত কিডন্যাপ বলা হয়। পরে দেহ উদ্ধার হয় পরিবারের আবেদন জুডিসিয়াল ইনকোয়েস্ট এবং কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের। এবং নিরপেক্ষ তদন্তের ও আবেদন করে পরিবার। পুলিশ আবেদন রাখে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ  রয়েছে আইও কে আইন মেনে ময়নাতদন্ত করার’।এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এই ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট পরার পরও কেন পকসো দেওয়া হয়নি? তদন্তের একটা ওয়াইড ডোমেন রয়েছে।’ রাজ্যের আইনজীবী জানায়, -‘এখনও কোনও ময়নাতদন্ত হয়নি। তার অপেক্ষা চলছে’। বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলা পরের দিন যেন অবশ্যই পকসো কোর্টে ওঠে। অভিযুক্তকে পকসো কোর্টে পেশ করা হয়, যেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পেশ আর না করা হয় অভিযুক্তকে।’নির্যাতিতার বাবার আবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে প্রথমে কমান্ড হাসপাতালের নাম ওঠে। তবে সেখানে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ না থাকলে কাজ চাপানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘কমান্ড হাসপাতালের পরিবর্তে ইএসআই হাসপাতালে করা যায় কিনা কেন্দ্র জানাক।’ নাম উঠে আসে কল্যাণী এইমস হাসপাতালেরও।এরপরই নির্যাতিতার বাবার আইনজীবী বলেন, ‘ঘটনাস্থল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল সংরক্ষণ করা হয়নি। তদন্তভার সিবিআই কে দেওয়া হোক। পুলিশের তদন্তে পরিবারের আস্থা নেই।’ শুনে বিচারপতির মন্তব্য, ‘এখন পর্যন্ত পুলিশের পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করছি। পকসো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।’বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ‘কল্যাণী এইমস চিকিৎসকদের দ্বারা ময়নাতদন্ত হবে। কল্যাণী এইমস পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকলে, কল্যানী জে এন এম হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করে ময়না তদন্ত হবে। সকাল ১১:৪৫ দেহ পৌঁছাবে কল্যাণী এইমসে। এসডিপিও কল্যানী নজরদারি করবেন পুরো ঘটনার। পরিবারের তরফে একজন উপস্থিত থাকবেন।’ বিচারপতির নির্দেশ, ‘জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত। ভিডিওগ্রাফি হবে ময়নাতদন্তের। ময়নাতদন্ত রুমের বাইরে থেকে বাবা বা মা, ভার্চুয়ালি দেখতে পারবেন ময়নাতদন্ত। এসিজেএম বারুইপুর ১১:৪৫ কল্যাণী এইমসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ।’ ‘আদালত রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *