উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
জয়নগর :ব্যাংকিং পরিষেবা শিকেয়, সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ও টাকা তুলতে না পেরে ফিরতে হলো অসহায় পেনশনভোগী থেকে সাধারণ মানুষকে।সিনিয়ার সিটিজেন, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ, অসুস্থ মানুষদের নিজেদের জমানো টাকা তুলতে ঘন্টার পর ঘন্টা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে । এদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই।বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর অবধি লাইনে দাঁড়িয়ে ও টাকা তুলতে না পেরে ফিরে যেতে হলো এই সব মানুষদের। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চরম অসহযোগিতার প্রকাশ দেখতে পাওয়া গেল এখানে।এই ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর থানার বহড়ু ইউ বি আই এর শাখার । চরমে দূর্ভোগে পেনশন ভোগীরা।ঘটনায় প্রকাশ, জয়নগর থানা এলাকার বহড়ুতে জয়নগর ১ নং বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক কৃষি দপ্তর,ব্লক আই সি ডি এস,ব্লক খাদ্য দপ্তর,প্রাণী সম্পদ দপ্তর, ব্লক ভূমি রাজস্থ দপ্তর, ডাকঘর, দুটি হাই স্কুল, ১০-১২ টি প্রাথমিক স্কুল,পঞ্চায়েত সহ বহু বেসরকারি অফিসআছে। কিন্তু রাস্তায়ত ব্যাংক মাএ একটি। ই বি আই। কয়েক হাজার গ্রাহক আছে এই শাখার।প্রচুর পেনশন ভোগী এই ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল। এমনিতেই এই ব্যাংকের ভেতরে সিনিয়র সিটিজেন, বিশেষ ক্ষমতা সম্পূর্ণ, মহিলা সহ অসুস্থ মানুষদের দাঁড়ানোর জায়গা অবধি নেই। তাঁর উপর কয়েক দিন আগে এই শাখার ম্যানেজার ও ডেপুটি ম্যানেজার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারনে ৮-১০ দিন ব্যাংক পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তাতেই সমস্যায় পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক। গত সোমবার থেকে আবার পরিষেবা শুরু করলেও কর্মী কম থাকার অজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করাচছে বলে অভিযোগ। গত মার্চ মাস থেকে পাসবই আপডেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে এখানে। কয়েক দিন ব্যাংক পরিষেবা চালু না থাকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থান সম্মুখীন পেনশন ভোগীরা।ভোর রাত থেকে কয়েকশো গ্রাহক ব্যাংকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েও টাকা তুলতে না পেরে অসহায় হয়ে ফিরে যাচছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন লিংক না থাকায় বৃষ্টির মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে ফিরে যেতে হয়েছে তাদেরকে।কয়েকজন পেনশনভোগী জানালেন, একে বাজারে জিনিস পএের দাম বেড়ে চলেছে। বেড়ে চলেছে ওষুধ পএের দাম ও। তাঁর ওপর লকডাউন চলছে। আর এরই মধ্যে পেনশন তোলার সময়ে বেশ কয়েকদিন ব্যাংক পরিষেবা বন্ধ ছিলো। আর আজ ভোর থেকে এত বেলা অব্দি লাইনে দাঁড়িয়ে ও টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে আমাদের। কিভাবে ওষুধ কিনবো, কিভাবে মাস চালাবো বুঝতে পারছি না। এই শাখার পরিষেবা কবে ঠিক হবে এর উত্তর কে দেবে। আমরা সিনিয়র সিটিজেন হয়ে ও রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি বৃষ্টির মধ্যেও।ভেতরে দাঁড়ানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যাংকের তরফ থেকে আমাদের সাথে কোন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে না এ ব্যাপারে। ব্যাংকের এই শাখার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজারবলেন, লিংক যদি না থাকে আমরা কি করবো।এতে আমাদের কিছু করার নেই। সিনিয়র সিটিজেন, অসুস্থ, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের দাঁড়ানোর বা বসার কোন ব্যবস্থাই এখানে নেই আর তার জন্য আমরা কি করতে পারি।বহড়ু সহ আশেপাশের এলাকার মানুষ চায় দ্রুত ব্যাংঙ্কিং পরিষেবা এখানে উন্নত করা হোক।