মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু
আগামী ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি টানা তিনদিনের বাস – মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ও মালিকপক্ষদের সংগ্রহ। রীতিমতো যৌথ মঞ্চ করে ৫ টি বাস সংগঠন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তাতে গোটা রাজ্য স্তব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে করোনা আবহে ধাপে ধাপে লকডাউন কাটিয়ে যখন সচল রাজ্য।তখন নুন্যতম বাসভাড়া দ্বিগুণ করবার দাবি সহ পেট্রোল – ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় কর সেজ মকুব দাবি গুলি রয়েছে বাস ধর্মঘটীদের।ঠিক এহেন পেক্ষাপটে চলতি মাসের শেষের দিকে টানা তিনদিনের বাস ধর্মঘট রুখতে কলকাতা হাইকোর্টে দ্রুত শুনানি চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করলেন এক আইনজীবী। যাতে কলকাতা হাইকোর্ট এহেন ধর্মঘট নিয়ে কোন নির্দেশ জারি করে।আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গতবছর মার্চ মাস বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় জনজীবন বিপন্ন হয়ে উঠে। তার রেশ এখনও কমেনি।গত দুই তিনমাস পূর্বে ধাপে ধাপে লকডাউনে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। তাতে বাসের সাথে যুক্ত ড্রাইভার – খালাসি – কনট্রাকটর সর্বপরি মালিকপক্ষ রোজগারের দিশা দেখে।তবে যাত্রী পরিবহন আগেকার মত স্বাভাবিক নয়।তাই তার প্রভাব বিভিন্ন রুটের বাস – মিনিবাসের উপর পড়েছে। তার উপর পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়েছে বহুগুণ। তাই জ্বালানি তেলের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের কর – সেজ মকুব করার দাবি যেমন রয়েছে বাসের সাথে যুক্ত কর্তৃপক্ষদের।আবার নুন্যতম যাত্রীভাড়া ৭ টাকা কে দ্বিগুণ করবার দাবি রয়েছে। সারা রাজ্যের ৫ টি বাস শ্রমিক ও মালিকপক্ষদের সংগঠন আগামী ২৮ জানুয়ারি, ২৯ জানুয়ারি এবং ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত টানা তিনদিনের বাস – মিনিবাস ধর্মঘট ডেকেছে। এমতাবস্থায় জনজীবন অচল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। তাই যাতে রাজ্যের পরিবহন স্বাভাবিক থাকে, সেই দাবি পিটিশনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। আগামী সপ্তাহে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।