টেলিভিশন হচ্ছে আমাদের হৃদয়ের দর্পণ,সামাজিক চেতনা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে টেলিভিশন : মমতা

Spread the love

টেলিভিশন হচ্ছে আমাদের হৃদয়ের দর্পণ,সামাজিক চেতনা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে টেলিভিশন : মমতা

সৌরভ দত্ত, কলকাতা : বৃহস্পতিবার রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ‘ধন ধান্য’ প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চ থেকে ধারাবাহিক নির্মাতাদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সামাজিক চেতনা বৃদ্ধিতে কীভাবে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে টেলিভিশন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সম্মানিত হলেন ছোট পর্দার তারকারা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “টেলিভিশন চ্যানেলের সবথেকে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা বৃদ্ধি।”
টেলিভিশনকে বরাবরই সামাজিক দর্পণের আখ্যা দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতে অতীতেও সিরিয়াল নির্মাতাদের বিশেষ পরামর্শ দিয়ে এসেছেন তিনি। ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য থেকে কূটকচালি, বহুবিবাহের মতো প্লট বর্জনের কথা বলেছিলেন তিনি। ২০২৫ সালের টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের আসরেও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে দর্শক টানার কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “টেলিভিশন চ্যানেলের সবথেকে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা, সুশিক্ষা বৃদ্ধি। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়তো ঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না। টেলিভিশনের মাধ্যমেই কখনও কখনও সামাজিক চেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন, “আমাদের এই মাটিই কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে, এই মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। আমি সেই মাটিটাকে চেনানোর জন্য বলছি। এটা একটা পরিবার।”
পাশাপাশি টেলিপাড়ার শিল্পী কলাকুশলীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, “অনেক নতুন শিল্পীরা আসছেন, ট্রেনিং নিচ্ছেন। পুরাতনরাও রয়েছেন। আমি মনে করি, টেলিভিশন হচ্ছে আমাদের হৃদয়ের দর্পণ। সমাজশিক্ষা। সমাজের আলোড়ন। ভাষার সংকলন, সঙ্গীতের সুরধ্বনি। সবকিছু নিয়ে মিলিয়ে মিশিয়ে এই জগৎটা না থাকলে মানুষের বিনোদন থাকত না। আমি নিজেও সিরিয়াল দেখি। পরের অংশে কী দেখানো হবে সেটাও বলে দিতে পারি। কোনওটা বাড়াতে গিয়ে কাউকে মেরে দেয়। আবার প্রয়োজনে একটু কূটকচালি হয়ে গেল। প্রত্যেকটা সিনে তিন-চারটে চরিত্র তো থাকেই। কেউ ভালো, কেউ নেগেটিভ চরিত্রে। সবই ভালো। টিআরপিও বাড়াতে হবে। গল্পও বানাতে হবে। আমাদের টেলিভিশন জগতের শিল্পী, কলাকুশলীরা দিনরাত এক করে কাজ করে। তাঁদের জীবনে ছুটি নেই। উৎসবে যাওয়া নেই। এটাই যেন তাঁদের জীবনের উৎসব। পুজোর সময়ও তারকাদের ব্যস্ততা বেশি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *