ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে সরে দাঁড়ালেন দুই বাঙালি বিচারপতি 

Spread the love

 ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে সরে দাঁড়ালেন দুই বাঙালি বিচারপতি 

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,  

ফের পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে বহু প্রতীক্ষিত ডিএ মামলা। বুধবার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা  নিয়ে মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে । শুধু পিছিয়ে গেল তা নয়, এই মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই বাঙালি বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং দীপঙ্কর দত্ত বলে জানা গেছে ।গত ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা  নিয়ে শুনানি হয়েছিল বিচারপতি মাহেশ্বরী ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে। সেই শুনানিতে আদালত একটি অন্তবর্তী নির্দেশও দেয়। সেই সঙ্গে জানায় যে ১৪ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।তবে গত মঙ্গলবার  সুপ্রিম কোর্টের তরফে নোটিসে জানানো হয়, বিচারপতি মাহেশ্বরী এদিন থাকবেন না। তাঁর পরিবর্তে এদিনের বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও সুপ্রিম কোর্টে নবনিযুক্ত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।এদিন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় শুনানির শুরুতেই বলেন -‘ আমরা এই মামলা থেকে সরে যাচ্ছি। নতুন বেঞ্চ তৈরি হবে। তার পর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মামলার শুনানি হবে’। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও মীনাক্ষী অরোরা তখন কারণ জানতে চান। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন,-  ‘আমি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কিছু মন্তব্য শুনেছি। তাঁরা বলছেন, আমি আসায় তাঁদের সুবিধা হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়’।সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে সদ্য নিযুক্ত হয়েছেন  বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ও বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি ছিলেন তিনি। তবে তারও আগে বাম জমানায় তিনি ছিলেন স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের ধারণা হয় যে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তাঁদের পক্ষেই রায় দেবেন।এদিন বিচারপতি দত্ত অসন্তোষ প্রকাশের পর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, – ‘ আমরা জানিও না যে কেউ এরকম বলেছেন। কেউ যদি এরকম বলে থাকেন তা হলে সেটা খুবই বোকামি হয়েছে। তবে মহামান্য আদালত যা চাইছে তাই হোক’। জানা গেছে, কয়েক দিন পর সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি পড়ে যাবে। এর পর সুপ্রিম কোর্টের কাজকর্ম শুরু হলে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন বেঞ্চে মামলার শুনানি হতে পারে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *