খায়রুল আনাম,
রাজ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে জমিজট একটা বড় সমস্যা হয়ে রয়েছে। এরফলে জাতীয় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মার খাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর থেকে কেন্দ্রীয় ‘ভারতমালা’ প্রকল্পে চার লেনের জাতীয় সড়ক তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তার আগে ২০১৭ সালে প্রথমে ‘ভারতমালা’ প্রকল্পে এই কাজ হওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও, জমি অধিগ্রহণ জটে তা বাস্তবায়িত না নতুনভাবে পরিকল্পনা তৈরী করা হয়। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে নতুন ৩১২ নম্বর জাতীয় সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা কেন্দ্র সরকারই নিয়েছিলো। সেই সময় এই কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন সীমান্ত এলাকার মানুষ। ২০২২ সালে নতুন যে পরিকল্পনা নেওয়া হয় তাতে জানানো হয় যে, জঙ্গিপুর থেকে বসিরহাট পর্যন্ত চার লেনের ৩১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের ডিপিআর তৈরীর কাজ ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এবং ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করে দেয়। সীমান্তের জঙ্গিপুর থেকে বসিরহাট পর্যন্ত এই সড়ক নির্মাণের কাজে জোরও দেওয়া হয়। জঙ্গিপুর থেকে লালগোলা, ভগবানগোলা হয়ে যে ১১ নম্বর রাজ্য সড়ক বহরমপুরের দিকে গিয়েছে, সেটিকে ২ দিকে ৪৫ ফুট বাড়িয়ে ১০ ফুটের সড়ক তৈরী করে তা ৯০ ফুট করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলা হয়। এটি হলে জঙ্গিপুরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথ বরাবর জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হবে। এই সড়কটি জঙ্গিপুরের উমরপুরে শুরু হয়ে লালগোলা, ভগবানগোলা, লালবাগ, ডোমকল, জলঙ্গি, তেহট্ট, কৃষ্ণনগর, হাঁসখালি, বগুলা, বনগাঁ, স্বরূপনগর, তেঁতুলিয়া হয়ে বসিরহাট যাওয়ার কথা। এটি হলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে চাপও কম পড়বে এবং উপকৃত হবেন নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মানুষ। করিমপুর-কৃষ্ণনগরের পথও সহজ হবে। এতে সীমান্ত পথে বিএসএফেরও পথ সহজ হওয়ার কথা। কিন্তু সীমান্তে এত সমস্যা দেখা দিলেও, কেন এবং কোন বাধায় এই পথ হচ্ছে না, তা নিয়েই এখন ধন্দের গোলকধাঁধা তৈরী হয়েছে।