জুলফিকার আলি
পূর্ব মেদিনীপুর : দিঘা : ‘পথ সচেতনতা’ প্রসারের লক্ষ্যে পথে নামল খোদ ট্রাফিক পুলিশ। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নিল ট্রাফিক পুলিশ। পদযাত্রায় সামিল সিভিক ভলেন্টিয়ারেরাও। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’। এই স্লোগানকে ভিত্তি করে প্রচার চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে। সেই প্রচারকে আরও বেশি অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, রাখী বন্ধন উৎসবের দিনই পথে নামল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা ট্রাফিক পুলিশ। এদিন বেলার দিকে সমুদ্র সৈকত নগরী দিঘায় পদযাত্রার সূচনা হয়। পদযাত্রায় অংশ নেন দিঘা থানার ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা। সুসজ্জিত পোশাকে পদযাত্রার একেবারে সামনে ছিলেন দিঘার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সামসুর আজাদ, দিঘা থানার পুলিশের ট্রাফিক ওসি রমেন্দ্র নাথ শ্যাম, দিঘা থানার ওসি অমিত প্রামাণিক এবং ওসি মোহানা প্রবীর সাহা প্রমুখ। দিঘায় এদিনের পদযাত্রা ঘিরে সর্বত্রই উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝপথে বহু সাধারণ মানুষ ও পর্যটকেরা এই পদযাত্রায় যোগ দেন। হাঁটতে হাঁটতেই, নিউ দিঘায় পর্যটক ও সাধারণ মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে দেন ট্রাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। নিউ দিঘার যুব আবাসের কাছে শেষ হয় দিঘা ট্রাফিক পুলিশ আয়োজিত এই পদযাত্রা। এদিন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের বক্তৃতায় উঠে আসে, ‘সাবধানে চালাও, জীবন বাঁচাও’-এর লক্ষ্যের কথা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে পাঁচ লক্ষ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে ‘পথ নিরাপত্তা আইন’ সংশোধন করে আরও কড়া আইন প্রণয়ন করতে চাইছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই ইস্যুকে একটি সামাজিক আন্দোলনের চেহারা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মতো নানা জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লক্ষ্য, মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ।