নারদায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
এবার সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি। এই বিষয়ে ওই বিচারপতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল কে দুপাতার চিঠিও পাঠিয়েছেন। যা নিয়ে সর্বভারতীয় আইনমহলে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। জানা যায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা নারদায় সিবিআইয়ের হাইকোর্টে আবেদন এবং মামলার শুনানি প্রক্রিয়া নিয়ে চিঠিটি পাঠিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে।চিঠিতে উল্লেখিত যে – ‘ সিবিআইয়ের নারদা মামলাটি অন্যত্রে সরানোর আবেদন টি সিঙ্গেল বেঞ্চে না গিয়েসরাসরি ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়াতে হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে আমরা এখন উপহাসের পাত্র হয়ে উঠেছি। সিবিআই রিট পিটিশন টি তে সাংবিধানিক বিষয় জড়িত ছিল না।বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। হতে পারে বিশৃঙ্খলার জন্য হাইকোর্ট আবেদন গ্রহণ করতে পারে এবং শুনানি চালাতে পারে।তবে সেটা হাইকোর্টের কোন সিঙ্গেল বেঞ্চে হওয়াটা দরকার ছিল।সাধারণত আপিল সাইড রুলস অনুযায়ী সিঙ্গেল বেঞ্চে এইধরনের মামলা দাখিল হয়। ভারতীয় সংবিধানের ২২৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন করা যায়।তবে সেটি নারদায় অন্য রাজ্যে মামলা স্থানান্তরিত করার জন্য ৪০৭ ধারা মোতাবেক হাইকোর্টের প্রথম ডিভিশন বেঞ্চে নয়’। শুধু তাই নয় যখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নারদায় ধৃতদের জামিন নিয়ে দুই বিচারপতির মতবিরোধ দেখা গেল, তখন তৃতীয় কোন বিচারপতির মত নিতে পারত।তা না করে সরাসরি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা ঠিক হয়নি বলে ওই বিচারপতি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।সাধারণত দুটি ডিভিশন বেঞ্চের মতবিরোধ ঘটলে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। তবে নারদার ক্ষেত্রে তা হয়নি।পাশাপাশি গত ১৭ মে সিটি সেশন কোর্টে সিবিআই এজলাসে যে অন্তবর্তী জামিনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল তা ওই রাতেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা ঠিক হয়নি। সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তর অনলাইনে যে কায়দায় আবেদন জানিয়েছিলেন তা যথাযথ নয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে।পরোক্ষভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন হাইকোর্টেরই অপর বিচারপতি। যা নিয়ে শুধু এই রাজ্য নয় সমগ্র দেশ জুড়ে আইনমহলে নুতন করে বিতর্ক সৃষ্টি করলো বলে মনে করছেন হাইকোর্টের বেশিরভাগ আইনজীবীরা।