জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি ,
দীর্ঘ টালবাহানার পর গত ২১ শে সেপ্টেম্বর প্রশাসকমণ্ডলী পায় গুসকরা পৌরসভা। দায়িত্ব নেওয়ার পর চেয়ারপার্সন গীতা রাণী ঘোষ এবং অপর দুই সদস্য রত্না গোস্বামী ও কুশল মুখার্জ্জী বলেন – তাদের কাজের প্রথম অগ্রাধিকার হলো এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটানো, ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত করা ও খারাপ হয়ে যাওয়া স্ট্রীট-লাইটগুলো পরিবর্তন করা। প্রসঙ্গত কুশল বাবু দীর্ঘদিন গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীকে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে গতকাল রাতে হঠাৎ গুসকরা পুরাতন পঞ্চায়েতের কাছে অবস্হিত জল ট্যাংকে জল তোলার পাম্পটি খারাপ হয়ে যায়। এই ট্যাংকটি থেকে ১০ নং ওয়ার্ডের একাংশ এবং ৩ ও ১১ নং ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়। পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় জল সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু বোর্ড সদস্য কুশল মুখার্জ্জী পৌরসভার জলবাহী ট্যাংকারের সাহায্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পৌরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে যতদিন পর্যন্ত পাম্পটি পুনরায় চালু হচ্ছে পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকার বাসিন্দাদের তিন বার করে জল দেওয়া হবে। জল পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা কুশল বাবু তথা অন্য দুই সদস্যের তৎপরতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।
কুশল বাবু বললেন- আমরা কেবল আমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেছি। গুসকরাবাসীদের কাছে পৌর পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা তিন জন একটা ‘টিম’ হিসাবে কাজ করে চলেছি।