এম. কে. হিমু, মেমারি, ৯ অক্টোবর
প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অধিকার শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রতিবাদ থাকবেই। কিন্তু প্রশ্ন হল প্রতিবাদীরা যদি গণতন্ত্রের চতুর্থস্তম্ভকে আক্রমণ করেন ঘৃণ্য রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাহলে তা অবশ্যই নিন্দনীয়।
বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে গত কাল শুধুমাত্র কলকাতা শহরে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটেছিল তার আঁচ রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্থলে পড়েছে। গত ৭ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমানের পালসিট টোল প্লাজায় নবান্ন ফেরত বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন জিরো পয়েন্ট-এর সাংবাদিক তথা জেলার বরিষ্ঠ চিত্রসাংবাদিক নূর আহামেদ।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার মেমারি পালসিট টোল প্লাজার নিকট। জিরো পয়েন্ট-এর সাংবাদিক নূর আহামেদ জানান যে, কয়েকজন সাংবাদিক পালসিট টোল প্লাজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ নবান্ন ফেরৎ কিছু বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে টোল প্লাজার কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হই। অজ্ঞাত পরিচয় বিজেপি কর্মী ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। মাটিতে ফেলে লাথি মারা হয়। তারপরে দ্রুত সেখান থেকে বিজেপি কর্মীরা চলে যায়।
শুধুমাত্র সাংবাদিক নূর আহামেদই নন ঘটনার সূত্রপাতে পালসিট টোল প্লাজার ৪ কর্মীও আহাত হন এই বচসায়। স্থানীয় মানুষজন তাদের উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
মেমারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মেমারি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য স্থানীয় মানুষের আগমনে হামলাকারীরা তাদের বাসে করে দ্রুতবেগে পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় তাদের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। প্রেমাংশু সাউ নামে এক বিজেপি কর্মীর নামে উক্ত ঘটনার জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।