পুজোর সময় শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন গুসকরা পুরসভা
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
এমনিতেই সারাবছর শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে যথেষ্ট সচেতন গুসকরা পুরসভার সাফাই কর্মীরা। সকাল হতে না হতেই তারা শহর পরিস্কার করার কাজ শুরু করে দেয়। পুজোর সময় পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অতিরিক্ত গুরুত্ব পেয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সরেজমিনে প্রতিটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিচ্ছেন। নিজ নিজ ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সদা সতর্ক থাকছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা। তারা প্রায়শই সাফাই কর্মীদের সঙ্গে থাকেন। মাঝে মাঝে নিজেরাও হাত লাগান। ফলে সাফাই কর্মীদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ দেখা যায়।
গত জুন মাস থেকে একটানা বৃষ্টির জন্য শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তার বিভিন্ন অংশ যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে গুসকরা শহরে একাধিক বারোয়রি ও ব্যক্তিগত পুজো হয় এবং প্রতিটি পুজো শহরের পাশাপাশি আশেপাশের মানুষের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ফলে পুজোর সময় শহরে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়ে। বেহাল রাস্তার জন্য দুর্ঘটনার আশঙ্কা একটা থেকেই যায়। কিন্তু সমস্ত আশঙ্কা দূর করে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পুর কর্তৃপক্ষ রাস্তাগুলি মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যথেষ্ট কাজ হয়েছে। যদিও এখনো বেশ কিছু রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড় আছে। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে পুজোর আগেই সেগুলি মেরামত করা হবে।
রাতের অন্ধকারে শহরে যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুর কর্তৃপক্ষ শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের পথবাতিগুলির দিকে নজর দিয়েছে। খারাপ হয়ে যাওয়া পথবাতিগুলি বদল করা হচ্ছে। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে।
পুজোর সময় হঠাৎ বৃষ্টিতে শহর যাতে ভেসে না যায় তারজন্য নিকাশী নালাগুলির পরিচ্ছন্নতার দিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুজোর সময় পানীয় জলের জন্য শহরবাসী যাতে কোনোরকম সমস্যায় না পড়ে তারজন্যও পুর কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সচেতন। প্রায় প্রতিটি ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপ কলগুলি যাতে ঠিকমত চালু থাকে তারজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা সেগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখছেন। জল সরবরাহকারী ট্যাংকার গুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পুজোর সময় শহরের আইন শৃঙ্খলা যাতে কোনোরম বিঘ্নিত নাহয় তারজন্য পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি পুজো কার্নিভালেও যাতে কোনো সমস্যা নাহয় সেদিকেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এককথায় বলা যায় দুর্গাপুজো যাতে নির্বিঘ্নে হয় তারজন্য গুসকরা পুর প্রশাসন যথেষ্ট প্রস্তুত আছে।
পুর প্রধান কুশল মুখার্জ্জী বললেন, শুধু দুর্গাপুজো নয় সারাবছর পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেওয়ার ব্যাপারে আমরা শহরবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এব্যাপারে আমাদের প্রতিটি কাউন্সিলার যথেষ্ট সচেতন আছেন। এইসময় বহু দর্শনার্থী শহরে পুজো দেখতে আসেন। তাদের কাছে শহরের ভাবমূর্তি সম্পর্কে কোনো বিরূপ ধারণা গড়ে না ওঠে তারজন্য আমরা সচেতন আছি। আশাকরি পুজোর সময় সমস্ত ধরনের পরিষেবা পেতে পুরবাসীরা সহ শহরে আসা মানুষদের অসুবিধা হবেন।
তিনি পুরবাসী সহ প্রত্যেকের কাছে ভালভাবে পুজো উপভোগ করার জন্য আবেদন করেন এবং যেকোনো সমস্যায় পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।