পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করল গুসকরা তৃণমূল
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়নি, শুধু ইঙ্গিত করা হয়েছে - খুব শীঘ্রই হতে চলেছে রাজ্যের কয়েকটি করপোরেশন সহ শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। প্রাথমিক ইঙ্গিত পেয়েই কার্যত তৃতীয় বারের জন্য বোর্ড গঠন করার জন্য ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে গুসকরা তৃণমূল কংগ্রেস।
২০০৮ ও ২০১৩ সালে তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও ২০১৯ এর লোকসভা ও সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি গুসকরা পুরসভায় তৃণমূলের থেকে এগিয়ে থাকে। লোকসভা ভোটে ষোলটির মধ্যে মাত্র দুটিতে এবং বিধানসভা ভোটে কিছুটা উন্নতি করে সাতটি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে থাকে। আত্মতুষ্টিকে নুন্যতম গুরুত্ব না দিয়ে শহর সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। প্রচারের অঙ্গ হিসাবে প্রথম তিনি বেছে নিয়েছেন গুসকরার বৃহত্তম ১২ নং ওয়ার্ডকে।
তৃণমূল কর্মী তথা আইটি সেলের রবিনাথ আঁকুড়েকে সঙ্গী করে গত ২ রা জুলাই কুশল বাবু সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে হাজির হন। ওয়ার্ড সভাপতি কৃষ্ণ ভট্টাচার্য সহ তৃণমূল কর্মী গৌর দাস, বাপন দাস, বিষ্ণু খয়রা, পিয়ানো মাড্ডি প্রমুখদের নিয়ে ১৭৮ নং পার্টের মাঠপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাদের মুখ থেকেই এলাকার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। কিছু সমস্যার দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। পরিশেষে কিভাবে এই ওয়ার্ডে জেতা যায় তারও পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কখনো জিততে পারেনি।
কৃষ্ণ বাবু বলেন - গঠন অনুসারে এই ওয়ার্ডের বড় সমস্যা বর্ষার সময় জল জমে যাওয়া। এবিষয়ে শহর সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তাছাড়া এখানে রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের আরও উন্নতির অবকাশ আছে।
পরে কুশল বাবু বলেন - এটা ঠিক ভোট প্রচার বলা যায়না। মূলত এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের নেত্রীর লক্ষ্য দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া। 'দাদা' অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ভোটের ফল যাইহোক না কেন কোনো মানুষ যেন সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। সেইসব বিষয় সম্বন্ধে জানার জন্যই এখানে এসেছি। আগামী দিনে প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষের কাছে যাব। বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করব।