পূর্বস্থলীর আনন্দলোক সঙ্গীত ও চারুকলা অনুশীলন মহাবিদ্যালয়ের ৬৩ তম বার্ষিকী

Spread the love

পূর্বস্থলীর
আনন্দলোক সঙ্গীত ও চারুকলা অনুশীলন মহা বিদ্যালয় ৬৩ বছর পার করলো।এই সংস্হার প্রান পুরুষ ও অধ্যক্ষ ছিলেন আমৃত্যু ব্রজেন্দ্র কুমার চক্রবর্ত্তী।জন্মভূমি পদ্মা- মেঘনা বিধৌত দ্বীপপুন্জে।চট্টগ্রাম,হাতিয়া,সন্দীপ,বরিশাল প্রভৃতি অন্চলে নৌকা,স্টীমারে,জাহাজে ভ্রমনকালে মাঝি মাল্লার গান, বিচিত্র মানুষের কন্ঠে শোনা লোকগান,বাউল,বৈষ্নব,বৈরাগী,দরবেশ, সাধকের গান কন্ঠস্হ করে ওপার বাংলার দাঙ্গায় সর্বশান্ত হয়ে পশ্চীমবঙ্গের পূর্বস্হলীতে এসে ওঠেন।তখন ১৯৪৫ সাল ১৮ বছর বয়স।তখন এখানে শিক্ষকতা শুরু করেন সাথে সমাজ সেবা।রোগীর সেবা করা,পাঠাগার,স্কুল,ক্লাব, গ্রাম গঠনে নেমে পরেন।পারুলিয়ায় বনজঙ্গল কেটে আগুন জ্বালিয়ে বাঘ তারিয়ে বসতি স্হাপন করেন।সংগীতের আসর,যাত্রা,নাটক,নৈশ স্কুল চালান।১৯৫৮ সালে পারুলিয়ায় স্হাপন করেন আনন্দলোক।রবীঠাকুরের গান আছে আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর।এই লাইনটি ছিল তার জীবনের এক পরম উপলব্ধির উৎস।বিষয় ভিত্তিক শিক্ষার সঙ্গে চিত্তের বিকাশ ঘটাতে পারে সঙ্গীত ও চারুকলা।আর তাতে মানুষ পেতে পারে সত্য ও সুন্দরের পথের সন্ধান।
আনন্দলোকের দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী বলেন রবিবার সমাবর্তন উৎসবে সকাল থেকেই এখানকার সাজানো উঠোন,বেদিতে সাদা আল্পনা,মাটির দেওয়াল জুড়ে ব্রজেন বাবুর হাতে আঁকা ও মাটিতে গড়া বিভিন্ন মনিষীর মুর্তী সেই পরিবেশে মোড়ে ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দাড়ে গান গাইতে গাইতে ছাত্রছাত্রী সহ সকলে অঙ্গন পরিক্রমা করে।তার পর বৈতালিক।আচার্যের দীক্ষান্ত ভাষনের পর রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ব্রজেন বাবুর শিক্ষকতা সহ বুহুমুখি প্রতিভার কথা বলেন।ছাত্রছাত্রীদের আদর্শবান,লেখাপড়ার সাথে সাথে সাস্কৃতিক,চারুবিদ্যার প্রতি মনযোগী হতে বলেন।৩০০ শিক্ষার্থীকে শংসাপত্র দেওয়া হয়।পিলসুজ পত্রিকার ব্রজেন্দ্রসংখ্যাটিও প্রকাশ করেন স্বপন বাবু।দুপুরে আনন্দভোজনের পর কবি সভা,আনন্দলোকের শিক্ষার্থীও শিক্ষক,শিক্ষিকা ও বহিরাগত শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত,নৃত্য,উচ্চাঙ্গ নৃত্য,লোকসংগীত,নৃত্যনাট্য প্রভৃতি সারাদিন পরিবেশিত হয়।দূরদূরান্ত ও স্হানীয় গ্রামবাসী,অগনিত শ্রোতা সারাদিনের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন ,তুষার পন্ডিত চন্দন ঘোষাল।লোকগবেষক শান্তিরন্জন দেবকে আনন্দলোক সম্মান দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *