বসন্ত উৎসব
শীলা দাভর মেমোরিয়াল ( বি ডব্লিউ সি)
(মনোহরপুকুর ইউনিট)
কোলকাতা-২৯
“রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও গো এবার যাওয়ার আগে… ” লাল হলুদ পোশাকে সেজে কচি কচি ফুলের দল মাথা দুলিয়ে নাচতে নাচতে প্রবেশ করল আর নিমেষেই যেন ভরে উঠল বিদ্যালয় অঙ্গন। আজ যে ওদের বসন্ত উৎসব। এই উৎসবের তাৎপর্য কি, কখন হয়, কেন হয় কিছুই জানে না কিন্তু ওরা যেন জানে– “ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত”….মুঠো মুঠো আনন্দ। আনন্দে ভেসে যাওয়া। ভাসিয়ে দেওয়া। ছোট্ট শমী ঠাকুর সেই কবে যখন তিনি নিতান্তই শিশু, তখনই শিশুর আবদারে বাবা রবীন্দ্রনাথ এই ঋতু উৎসবের সূচনা করেন। সেই ১৯০৭। তারপর সময় অনেকটা গড়িয়ে গেছে। শমী কোথায় হারিয়ে গেছে। ১৯২৫ শে ঋতু উৎসব পরিবর্তিত হয়েছে বসন্ত উৎসবে। প্রথম দিনে যে গান গাওয়া হয়েছিল তা হল–“একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ…”। সম্বিত ফিরে দেখি ছোট্ট কচি কাঁচাদের গানে কবিতায় আসর জমজমাট। আর সেই আসর যেন পূর্ণতা পেয়েছে দুই বিশিষ্ট অতিথির আগমনে–একজন ১৭ নং সার্কেলের এসআইএফ স্কুলস সমীর মজুমদার, অন্যজন শিক্ষাবন্ধু শ্রীমতী উর্মিলা সেন। গানে কবিতায় কেমন করে যেন দেড় ঘণ্টা কেটে যায়। “খোলো খোলো দ্বার রাখিও না আর”… গাইতে গাইতে অনুষ্ঠান শেষ হয়। আমার যেন মনে হয় রবি কবি শুধু দুয়ার নয় অন্তরের অর্গল মুক্তির আহ্বান রেখে গেছেন, যার আজ বড় প্রয়োজন।