বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যের জেরে শান্তিনিকেতন থানায় ডেপুটেশন
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদা মানবজাতির জীবনে দেখিয়েছেন সভ্যতার সংকট । আর সেই মানবজাতির সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে স্বভাবতই বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, প্রাক্তনী থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন এলাকাবাসী বিচলিত এবং ক্ষুব্ধ।
উল্লেখ্য গত ১ জানুয়ারি, সামাজিক মাধ্যমে নাসিফ আখতার নামে মালদহের এক যুবকের শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ও রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক একটি অশ্লীল ভিডিও ক্লিপিং দেখে গভীর ভাবে মর্মাহত হয়েছেন আপামর বাঙালি। ভিডিওটিতে নাসিম বলেন, “শান্তিনিকেতনের ঐ বিখ্যাত বট গাছের তলায় বসে রবীন্দ্রনাথ গাঁজা ফুঁকতো, গাঁজা থেকেই শান্তি আর সেখান থেকেই শান্তিনিকেতনের নাম। দু’বিঘা জমির জমিদার যে চাষির জমি কেড়ে নিয়েছিল সে আসলে রবীন্দ্রনাথ নিজেই। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এসে সলমন খানের মতো ফার্ম হাউস বানিয়ে ছিলেন সেই ফার্ম হাউসের নাম দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন”। এসমস্ত মন্তব্যের জেরে ওঠে আসে বিতর্কের ঝড়। এরকম অশ্লীল পোস্ট ঘিরে পড়ুয়া, প্রাক্তনী থেকে শুরু করে আশ্রমিকরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা শান্তিনিকেতন থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া সোমনাথ ঘোষ জানান, বিশ্ববরেণ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গে যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে তা কখনোই বাঙালী এবং শান্তিনিকেতন বাসী হিসেবে মেনে নিতে পারি না। রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি আদিবাসী সমাজকেও অসম্মান করেছেন। নাসিম আখতারকে শান্তিনিকেতনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভিডিওটি ডিলিট করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন আরো বৃহত্তর আকার নেবে। অন্যদিকে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর জানান, হয়তো তিনি স্বাভাবিক নন, অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা দরকার অথবা তার পাগলা গারদে চিকিৎসার দরকার।