সেখ রাজু,
প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে জগন্নাথ রথযাত্রা শুরু হয় এবং দশমী তিথিতে এই রথযাত্রা শেষ হয় । প্রতি বছর উড়িষ্যার পুরী শহরে রথযাত্রাকে সামনে রেখে, সারা বিশ্বে রথযাত্রা পালন করা হয় । সারা রাজ্যের পাশাপাশি ভাতারে রবিবার মহাধুমধাম সহকারে পালিত হল রথযাত্রা উৎসব । রথের রশি টানতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন জাতির মানুষ অংশগ্রহণ করেন । ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ভাতার জগন্নাথ সেবা সমিতির সভাপতি অশোক হাজরা রথের দড়িতে টান দিয়ে রথযাত্রার শুভ সূচনা করেন । সঙ্গে ছিলেন সমাজসেবী শান্তনু কোনার সহ অগণিত জগন্নাথ ভক্তরা । ভাতার মহাপ্রভুতলা থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে মাসির বাড়িতে এসে শেষ হয় । কথিত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু সুদূর নবদ্বীপ থেকে পায়ে হেঁটে পুরীধাম যাওয়ার পথে ভাতারের কুলচন্ডা গ্রামে এই জায়গায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন । আর সেই সময় থেকেই এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে মহাপ্রভু তলা । ভাতার জগন্নাথ সেবা সমিতির সভাপতি অশোক হাজরা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এইবারে রথযাত্রার অনুষ্ঠানে ভিড় অনেকটাই বেশি। তিনি বলেন আজকের এই রথযাত্রার অনুষ্ঠানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত শ্রেণীর মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন । রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সজাগ ছিল ভাতার পুলিশ প্রশাসন । ভাতার বাজারে মোতায়েন ছিল ভাতার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । ভাতার হাইস্কুল মাঠে কয়েকদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । বেশ কয়েকদিন যাবত নানান নামিদামি শিল্পীদের নিয়ে ভাতার হাইস্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে খুশি এলাকার মানুষজন । এলাকার মানুষদের পূর্ণ সহযোগিতায় বৃহৎ এই রথযাত্রার উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠেন এলাকার মানুষজন । রাস্তার পাশে ভাতার ব্লক আপডেট খবর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের পক্ষ থেকে পুন্যার্থীদের জন্য জলসত্রের ব্যবস্থা করা হয় । এই জলছত্র উৎসবের মুখ্য আয়োজক ছিলেন মধুসূদন কোনার । এছাড়াও জলসত্র অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।