ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে পথ অবরোধ, সিউড়িতে
সেখ রিয়াজউদ্দিন বীরভূম
ফের একবার ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা সদর সিউড়ি শহর। সম্প্রতি জেলা সদর সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে এবং রোগী মৃত্যুর জেরে হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবারের লোকজন। সিউড়ি হাসপাতালে পরপর রোগী মৃত্যুর অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে হাসপাতাল এলাকা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সিউড়ি সদর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে উক্ত বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে সোমবার মৃতদেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ সাথে বিক্ষোভ প্রদর্শনে শামিল হতে দেখা যায় মৃতার পরিবার-পরিজন সহ এলাকাবাসীদের। ঘটনার বিবরণে জানা যায় সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দপুর গ্রামের মীণা দাস (৩৬) সিউড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সৌমেন্দ্র দত্তের প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা করাতে গিয়ে গোল ব্লাডারে স্টোন ধরা পড়ে। এরফলে আনন্দময়ী নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় এবং সেখানে অপারেশন করা হয়।মৃতার স্বামী বাবলু দাস ও তার আত্মীয় পূর্ণিমা দাস জানান অপারেশনের পর বমি বন্ধ হচ্ছিল না।তাস্বত্তেও বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারের কাছে এলে সিউড়ির অন্য আর একটি নার্সিংহোমে অপারেশন করে দেন সে ক্ষেত্রে বাড়ির কোন ব্যক্তির অনুমতি নেয়নি। তারপর রোগী সুস্থ হয়নি উপরন্তু খাবার খেলে নাড়িভুঁড়ি দিয়ে হড়হড় করে বের হয়ে যায়। সেই সাথে সেলাই ফেটে যায়। ডাক্তার বাবুর বক্তব্য আলসার ছিল সেটা অপারেশন করা হয়েছে। এরপর তৃতীয়ত বোলপুর নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। সেখানে কিন্তু সরাসরি বলে দেওয়া হয় রোগী বাঁচবে না। খাবারের ঘর এবং মূল নালি কেটে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলের মধ্যেই বোলপুর শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। সোমবার মৃতদেহ বোলপুর থেকে এনে সিউড়ি আনন্দময়ী নার্সিংহোমের সামনে রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। ঘটনাস্থলে সিউড়ি থানার আইসি সহ পুলিশের হস্তক্ষেপে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় বলে খবর। মৃতার পরিবার ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল সহ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন।