মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশে ৭২ ঘন্টার ডেডলাইন বিচারপতি সিনহার 

Spread the love

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশে ৭২ ঘন্টার ডেডলাইন বিচারপতি সিনহার 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বছরের পর বছর চলছে মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চ। হ্যাঁ, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার অত্যন্ত কড়া দাওয়াই দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।৭২ ঘন্টার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন তিনি।যে মেধা তালিকা প্রকাশ হচ্ছেনা বছরের পর বছর , তা তিনি তিনদিনের মধ্যে প্রকাশ করতে বললেন। আদালত সুত্রে প্রকাশ, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পরিচালিত গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষা ১৪ বছর আগে  হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফলপ্রকাশ হয়নি। তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ । কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। বেঁধে দিয়েছিল সময়ও। কলকাতা হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাকি মাত্র দু’দিন! মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা  নির্দেশে জানান, -‘আগামী তিনদিনের মধ্যেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে’। প্রসঙ্গত, গত ২০১০ সালে গ্ৰুপ ডি-তে ৩  হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। ওই বছরই পরীক্ষা হয়। প্রায় এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই পরীক্ষার ফল এখনও বার করেনি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। ১৪ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনও ফলপ্রকাশ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। চলতি বছরের গত ১৩ জুন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে ফলপ্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য আর মাত্র দু’দিন বাকি রয়েছে । অভিযোগ, এখনও ফলপ্রকাশ করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের  তরফে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন গ্ৰুপ ডি-তে নিয়োগের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ । হাফিজুল হক-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের মামলা করেন বলে জানা গেছে । মামলাকারীদের দাবি, -‘ গত ৫ অগস্ট নতুন করে নিয়োগ করতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। অথচ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে এখনও পর্যন্ত ফলপ্রকাশ করা হয়নি’।মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, ”একটি পরীক্ষার ফল বার করতে কী ভাবে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে?” মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি জানান , -‘গত ১৪ বছর ধরে পরীক্ষার ফল বার করা গেল না! কারচুপি করতে কি এত সময় লাগে?  তিন হাজার শূন্যপদের জন্য এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। সেখান থেকে অনেক টাকা পেয়েছেন। আগে কমিশন ওই ফল বার করুক, তার পরে আদালত তাদের বক্তব্য শুনবে।” আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে। এখন দেখার আগামী শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কি জানায়? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *