কাজল মিত্র
:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সারা রাজ্যব্যাপী রাখি বন্ধন কে সামনে রেখে আজকের দিনটি সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।আর সেই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যুবকল্যান ক্রীড়া দফতরের উদ্দ্যোগে ও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় রূপনারায়নপুর নান্দনিক হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেই অনুষ্ঠান এর শুরু হয়।
এরপর সকলকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে রাখীর আকারে মাস্ক পরিয়ে,ও মিষ্টি মুখ করিয়ে পালন করা হলো রাখী উৎসব।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাসি ,সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহাম্মদ আরমান,সালানপুর ব্লক অফিসের জয়েন্ট ভিডিও মিহির কুমার দাস, যুব আধিকারিক পার্থ প্রতিম পাল রূপনারায়নপুর পঞ্চায়েত প্রধান রানু রায়, সামডি প্রধান জনার্দন মন্ডল সহ অন্যান্যরা। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন সালানপুর ব্লকের উদ্দোগে প্রতিবছর এই উৎসব ধুমধাম করে পালন করা হয় কিন্তু এবছর করোনার প্রকোপে সব ভেস্তে দিল।করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলেছে,সেই কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব পালনের সাথে সাথে রাখির পরিবর্তন করে সকলকে মাস্ক দেওয়া হয়। রাখী যেহেতু সকলকে রক্ষার জন্য হাতে বাঁধা হয় তার বদলে এবছর করোনা ভাইরাসএর কথা মাথায় রেখে সকলের সুরক্ষার কথা ভেবেই মুখে মাস্ক পরানো হল।
এই রাখী উৎসব অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ কর্মদক্ষ মহম্মদ আরমান বলেন এখন সারা দেশে জুড়ে চলছে করোনা মহামারী তাই এই বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে বেশি ভিড় না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটু অভিনৰ রূপে পালন করা হলো রাখী উৎসব এই বছর রাখীর আকারে মাক্স পরানো হলো,কারন এখন করোনা ভাইসার থেকে বেঁচে থাকতে মাক্স বাধ্যতামূলক তাই রাখীর বদলে মাক্স পরিয়ে এই উৎসব পালন করা হলো।