মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সোমবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে এসিজেম এজলাসে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ মিমি মামলায় চার্জশিট দাখিল করে থাকে। মামলা গ্রহণের ১৪ দিনের মাথায় অত্যন্ত দ্রুত গতিতে তদন্তে এই চার্জশিট দাখিল। ইতিমধ্যেই এই মামলার অভিযোগকারী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। পাশাপাশি গত শুক্রবার আলিপুর আদালতে হাজিরা দিয়ে পেসিডেন্সি জেলে অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালক কে সনাক্তকরণ করেছেন মিমি। ৫০৯, ৩৫৪এ এবং ৩৫৪বি ধারায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে। এদিন আদালতে ধৃতের পক্ষে জামিনের আবেদন জানানো হয়। তবে তা খারিজ করে দেন বিচারক।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে এসিজেম এজলাসের ৬ নং ঘরে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগকারী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। হাজিরা দিয়ে পেসিডেন্সি জেলে থাকা বিচারধীন বন্দি তথা এই মামলার মূল অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালক কে টিআই প্যারেডে সনাক্তকরণ করেছিলেন মিমি। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগরের এক ট্যাক্সি চালকের অভদ্র আচরণের শিকার হন এই সাংসদ। এরপর মামলার শুনানিতে গোপন জবানবন্দি দিয়েও যান। তখন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছিলন “আদালতে আসাটা খুব দরকার ছিল, না এলে ও ( অভিযুক্ত) ছাড়া পেয়ে যেত। সেদিন আমাকে কটুক্তি করেছে। আগামী দিন হয়তো অন্য কোন মেয়ের ক্ষতি করতো “। গত সপ্তাহে কলকাতার আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথে এই কথা গুলি জানিয়েছিলেন যাদবপুরের তৃনমূল সাংসদ তথা টলিউঠের নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর শাসকদলের এই সাংসদ তাঁর কসবার বাড়ি যাওয়ার পথে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির সিগনালের কাছে এক ট্যাক্সি চালকের অভদ্র আচরণের স্বীকার হন। প্রকাশ্য রাস্তায় কটুক্তি সহ অশ্লীল ইংগিত করার অভিযোগ উঠে এক ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে উচিত শিক্ষা দিতে গেলে ব্যস্ততম রাস্তায় গন্ডগোল বাড়তো। তাতে ট্রাফিক জ্যাম সহ নানান অসুবিধায় পড়তো শহরবাসী। তাই বিষয়টি সেদিন রাতেই গড়িয়াহাট থানায় ফোন করে জানিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ ডি, এবং ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়। স্থানীয় পুলিশ ঘটনার এক-দুদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালক কে গ্রেপ্তার করে। আলিপুর আদালতে এসিজেম এজলাসে এই মামলাটি চলছে। গত সপ্তাহে অভিযোগকারী সাংসদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় আলিপুর আদালতে। এই গোপন জবানবন্দি দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালকের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার সপক্ষে সাংসদ বলেছিলেন – ” আদালতে আসাটা খুব দরকার ছিল, না এলে ও ছাড়া পেয়ে যেত “। এরপর গত শুক্রবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে এসিজেম এজলাসে হাজিরা দিয়ে পেসিডেন্সি জেলে অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালক কে সনাক্তকরণ করেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। আজ অর্থাৎ সোমবার এই মামলায় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে ৫০৯, ৩৫৪এ এবং ৩৫৪ বি ধারায় চার্জশিট দাখিল করে থাকে।