মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন – মৃত্যুঞ্জয় সরদার

Spread the love

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোলা চিঠি,

আসলে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগন সাধারন মানুষ সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুঞ্জয় সরদার নামটি বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন শুনেছিলেন মহেশ্বেতা দেবীর ঘরে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তদন্ত করুন আমি কথাগুলো সত্যি বলছি না মিথ্যা বলছি। বামফ্রন্টের আমলে 2007 সালে , তৎকালীন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী রাজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে আমি লোকায়ত একটি অভিযোগ করেছিলাম সাংবাদিক হিসাবে। তার পরিণাম যা ঘটেছে সবি প্রশাসনিক খাতাতে লিপিবদ্ধ না হলেও অনেক আমলার জানেন। আজও শারীরিক-মানসিক আমার খুনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একশ্রেণীর সমাজবিরোধীরা। আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাও প্রশাসনিকভাবে কোন নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছেনা আমার পরিবারকে ও আমাকে। 2011 সালের আগে থেকে আপনার জন্য লেখালেখি করি, আপনার দলের হয়ে লেখালেখি করি। বামফ্রন্টের সময় থেকে বামফ্রন্ট বিরোধী লেখালেখি করে আমি বহু বছর ঘরছাড়া ছিলাম। খুনের হাত থেকে বেঁচে ও গেছিলাম । 2011 সালে আপনি ক্ষমতায় আসার পরে, আপনার লোকজন আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরে দিলে , তার খোঁজ আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েও রাখেননি। আপনার ভালোবেসে আপনার দলের সমর্থন করে লেখালেখি করার পরিণাম, আমার পরিবার আজও পোহাচ্ছে। তবে 2011 সালের সেই মিথ্যা মামলা,আমি কোর্টে প্রমাণ করে দিয়েছি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তার পরেও আপনি কেন আপনার দলের কেউ কোনো দিন খোঁজ নেননি আমার পরিবার কেমন আছে, আমি বা কেমন আছি ,সরকারি আমলারা কেন, কেউ আমার খোঁজ খবর রাখে না আজও, একমাত্র অজয় রানাডে সাহেব ছাড়া, আমি করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও একটু সুস্থ আছি। তবে এও বলছি আমি সাংবাদিক নিরাপত্তা, সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হলে , তার প্রতিবাদও প্রতিকার করার জন্য, সারা ভারত বর্ষ তথা আন্তর্জাতিক একটি সংগঠনের জন্ম দিয়েছে ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের। আপনার কাছে বহুবার বহু বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করেও আপনি কোন সুরাহ করলেন না। অথচ জাতীয় স্তর থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে, এবছরের বিধানসভা ভোটের আগেই আপনি পুনরায় ক্ষমতায় আছেন। এ কথা বহু পত্র পত্রিকায় লিখে প্রচার করলাম, অথচ আপনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও আমার মতন সাংবাদিকদের বিষয় নিয়ে একটু খোঁজ নিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। অথচ একশ্রেণীর সাংবাদিক নেতা মন্ত্রী কাছের হয়ে অর্থনৈতিক মুনাফা প্রচুর ভাবে পাচ্ছে। আর আমাদের মতন সৎ নিষ্ঠাবান নির্ভীক সাংবাদিক গুলো খাওয়ার পয়সা জোগাড় করতে পারছি না। বাড়িতে বিদ্যুতের বিল দেওয়ার মত টাকা নেই। অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ওষুধ কেনার টাকা নেই, বউ বাচ্চার মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দেবো অর্থ জোগাড় করতে পারছিনা। সততার কারণে আজ প্রায় লকডাউন কালীন অনাহারে জীবন-যাপন করার মতন অবস্থা। সরকারি কোন রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আপনার যতগুলো প্রকল্প আছে কোন প্রকল্প আমাদের পরিবার আজও পায়নি। আমি নিজে সহ আমার সংগঠনের প্রতিটি সাংবাদিক দেখতে চাই। আপনার মতন সৎ নিষ্ঠাবান নির্ভীক মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আগামী দিনের ভারতবর্ষের বাঙালি মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে।

আপনি যদি মনে করেন সব কিছু করতে পারেন।

মৎস্যজীবীদের জন্য সরকারিভাবে সমস্ত ব্যবস্থা যদি থাকে ।ঘর থেকে শুরু করে জাল, নৌকা অন্যান্য আসবাবপত্র ।বাউলদের জন্য যদি মাসিক ভাতা দিতে পারেন, তাহলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাংবাদিকদের জন্য ভারতবর্ষের প্রথম আপনার রাজ্যেই কেন বা সরকারি প্রেস কার্ড দিচ্ছেন না ,ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য। কেনই বা তাদের জন্য মাসিক ভাতা ব্যবস্থা করছেন না। কেনই বা গ্রাম্য সাংবাদিক পরিবারের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করছেন না। কেনইবা মৎস্যজীবীদের ঘর দিচ্ছেন সাংবাদিক পরিবারের আলাদা প্রকল্প করে গ্রাম গঞ্জের সাংবাদিকদের ঘরের ব্যবস্থা করছেন না। কেনইবা গ্রামীণ সাংবাদিক পরিবারের বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দিচ্ছেন না। কেনই বা গ্রামের সাংবাদিকরা নির্বাচনের আগে বা পরে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। কেনইবা গ্রাম সাংবাদিক পরিবারের জমি আপনার দলের নেতাদের ফ্ল্যাগ দিয়ে দখল করে নিচ্ছে। আপনি কি পারেন না বাংলার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে। আমাদের সংগঠন থেকে বহুবার এ বিষয় নিয়ে কলকাতার রাজপথে স্বপন দত্ত বাউল কে নিয়ে আন্দোলন করেছি। কেনইবা গ্রামের পাক্ষিক পত্রিকা ছোট-বড় ডিজিটাল মিডিয়া, ইউটিউব চ্যানেল সাংবাদিক পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা কোন ভাবে সপরিবারে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে পারছেন না।সাংবাদিক প্রজেক্ট করে গ্রামগঞ্জের সাংবাদিকদের কে নিয়ে একটি সরকারি কমিটি গঠন করুন ।যেখানে ছোট অনলাইন পোর্টাল ,ইউটিউব চ্যানেল ও ত্রিমাসিক পত্রিকাগুলো সাংবাদিক সহ অন্যান্য কর্মীদের মাসিক ভাতা ও সরকারি বিজ্ঞাপন সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে সপরিবারে সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে ,এই বিষয় দেখার জন্য অনুরোধ রইলো । এরাই আপনাদেরকে আপনাকে পৌঁছে দেবে আগামীদিনের ভারতবর্ষের মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনারকে। আমি কথা দিচ্ছি এসব সাংবাদিকদের হয়ে।

তুচ্ছ নগণ্য নিরাপত্তাহীন এক সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার

ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক।

মোবাইল নাম্বার: 9564382031

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *