সেখ সামসুদ্দিন
মেমারি ১ ব্লকের বাগিলা অঞ্চলের শশীনাড়া গ্রাম নিবাসী ভ্যান রিক্সা চালক বিন্দু দাস ও গৃহবধূ প্রতিমা দাসের পুত্র সোমেশ্বর দাস ৬৭৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ১৬ নম্বর র্যাঙ্ক করেছে। এই দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রটির শিক্ষা যাতে অর্থনৈতিক কারনে থেমে না যায় তার জন্য এগিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা। ফলে অভাবী পরিবারটি আশায় বুক বেঁধে ছেলেকে বিজ্ঞানী করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখছেন। এদিন মেমারির প্রয়াস সংস্থা, মেমারি ব্লক তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষক সত্যনারায়ণ পাত্র সোমেশ্বরকে শুভেচ্ছা জানায়। প্রয়াসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিমোর সুকান্ত ঘোষ তাঁর স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর কিছু দুঃস্থ ছাত্রকে সাহায্য করে থাকেন। এবছর প্রয়াসের কাছ থেকে ছেলেটির সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠান এবং প্রয়াসের পক্ষ থেকে ছেলেটির একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দু বছর পাঠ্য বই থেকে শুরু করে স্কুলের ভর্তি ফি সবটাই সহযোগিতা করা হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। শিক্ষক সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঘোষণা করেন সোমেশ্বরের পড়াশোনা চালাতে সর্বতোভাবে পাশে থাকবেন। মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির শাখা ২ এর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সত্যনারায়ণ পাত্র ব্যক্তিগত ভাবে ২ হাজার টাকা হাতে দিয়ে তিনিও বলেন স্কুলে ভর্তি থেকে বই খাতা, টিউশন সমস্ত বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। এদিন শুভেচ্ছা পর্বে উপস্থিত ছিলেন শশীনাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিত চ্যাটার্জী, শিক্ষিকা ও পঞ্চায়েত সদস্য ছবি ব্যানার্জী, শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, শিক্ষক পীযূষ বোস, সৌমিত্র চ্যাটার্জী, সোমনাথ দাস, তাপস মহালী, সত্যনারায়ণ পাত্র এবং প্রয়াস সংস্থার সভাপতি মানস কুমার রায়, সংস্থার সদস্য ছাত্রবৃন্দ ও নিমোর সুকান্ত ঘোষের প্রতিনিধি হিসাবে জামাইবাবু কার্তিক পাল। এক থেকে দশের মধ্যে নাম না উঠলেও গ্রামের নাম উজ্জ্বল করায় গ্রামবাসীরাও উচ্ছসিত।