মোবাইল মুখি না হয়ে মাঠমুখী হওয়ার আবেদন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষর
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বাঙালির শ্রেষ্ঠ খেলা ফুটবল খেলা ।যা দিনের দিন প্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।অথচ এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও গত ৩৪ বছর ধরে তিন দিনব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে খয়রাসোল ব্লকের বারাবন মিলন সংঘ। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। গত ১ লা নভেম্বর থেকে বীরভূম বর্ধমান সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করে।৩ রা নভেম্বর চুড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় মুখোমুখি হয় বীরভূম জেলার দুবরাজপুর থানার রফিউল একাদশ আদমপুর বনাম লোকপুর থানার ভালুকতোড় গ্রামের আল আমিন সংঘ। টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভালুকতোড় আল আমিন সংঘ ১-০ গোলের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষিত হয়।বিজয়ী দলের হাতে এক লাখ এক হাজার টাকা ও ট্রফি এবং বিজিত দলের হাতে একাত্তর হাজার টাকা ও ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ, ম্যান অফ দ্যা সিরিজ এবং শ্রেষ্ঠ গোলকিপার হিসেবে চিহ্নিত খেলোয়াড়দের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রফিউল হোসেন খান,রূপুষপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর গড়াই,বারাবন গ্রামের ভূমিপুত্র তথা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেখ আক্তার, সমাজসেবী মান্নান হোসেন খান প্রমুখ। উল্লেখ্য খেলাকে ঘিরে তিন দিনের গ্রামীণ মেলা বসে। এনিয়ে গ্রামের প্রতি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের সমাগম ঘটে। এটা অনেকটাই গ্রামে ঈদ বা দুর্গোৎসবের আকার ধারণ করে। খেলা কমিটির পক্ষ থেকে ঘোষণা করেন যে খেলার মাঠটির উন্নতির জন্য স্থানীয় সমাজসেবী শঙ্কর গড়াই তিন লক্ষ টাকা দেবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রফিউল হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেন বারাবন মিলন সংঘের সদস্য হিসেবে আজীবন থাকতে চাই। পাশাপাশি যে কোনো ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে বারাবন মিলন সংঘের ফুটবল খেলার মাঠে সোলার লাইট এর ব্যবস্থা করেছিলেন বলে আয়োজকরা জানান।বারাবন মিলন সংঘের সভাপতি সেখ রকিব, সহ সম্পাদক আসরফ খান,সদস্য আজমত খান, সহসভাপতি মোর্তাজ খান,সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান (রাজু),জের মহম্মদ খান সহ সকল সদস্যদের উৎসাহ উদ্দীপনা ও পরিচালনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
