কল্যানেশ্বরীর এক হোটেল থেকে যুবকের অপহরণের ঘটনায় ৬ জন অপহরণ কারীকে গ্রেপ্তার করল মাইথন পুলিশ
কাজল মিত্র
:-অপহরণ সহ তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে কুলটি থানা এলাকার কল্যাণেশ্বরীর সূর্য নিবাস হোটেল থেকে কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির সহযোগিতায় ছয়জনকে
গ্রেপ্তার করলো মাইথন থানার পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানাজায় রবিবার বিকেলে বিহারের কাইমুর জেলার বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার সিং(৩২) নামক এক ব্যাক্তিকে কিছু যুবক অপহরণ করে নিয়ে এসে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির অন্তর্গত কল্যানেশ্বরী অঞ্চলের সূর্য নিবাস হোটেলের একটি রুমে বন্দি করে রাখে।
তবে কোনকারনে সোমবার দিন ভোর বেলায় সঞ্জয় কুমার সিং ওই অপহরণ কারীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে হোটেল থেকে পালিয়ে মাইথন ড্যাম পৌঁছায়,সেখানে মাইথন ড্যামের সিআইএসএফ এর সুরক্ষা জাবানকে তার সমস্ত ঘটনা জানায়। তার ঘটনার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে সিআইএসএফ এর সুরক্ষা কর্মীরা মাইথন থানার পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে সূচনা দেয় ।
এর পর মাইথন থানার পুলিশ সঞ্জয় কুমার সিং কে সঙ্গে নিয়ে চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির সহযোগিতায় সূর্য নিবাস হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৬জন অপহরণ কারীকে ওই হোটেল থেকে আটক করে।
যাদের নাম যথাক্রমে শশীকুমার সিং,দীনেশ কুমার, বিকাশ কুমার সিং,সুধীর প্রসাদ,অনিল কুমার, আশুতোষ কুমার সকলেই বিহারের বাসিন্দা।সাথে অপহরণকারীদের কাছে থেকে একটি সুইফ্ট ডিজার(UP14HT577)স্কুইড (BR02AE1361) দুটি গাড়ি সহ ৭টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সঞ্জয় কুমার সিং বলেন আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে পার্টনারশিপে ব্যাবসা শুরু করার জন্যে আমি তাদের ৩লক্ষ টাকা দিয়ে ছিলাম কিন্তু তারা আমার টাকা নিয়ে সমস্ত টাকা খরচ করেদেয় আর কোন ব্যাবসাও শুরু করেনা ফলে আমার দেওয়া টাকা আমি ফেরৎ চাইলে আমাকে প্রাণে মারার ধমকি দেয় তারা তাছাড়া যে কোম্পানিতে আমরা ঠিকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করছিলাম সেই কোম্পানির বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করে দেয় তারা,এই চুরির ঘটনা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কে জানিয়ে দিবার কথা বললে তারা আমার সাথে মারধর করে ।তবে হটাৎ ১৪ই আগস্ট আমাকে তারা ডাকেন এবং একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে আমাকে সঙ্গে করে নেয়
দু দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নিয়ে ঘুরতে থাকে এবং আরো টাকা চাইতে থাকে। অবশেষে ১৬ তারিখ বিকেলে আমাকে মাইথনের সূর্য নিবাস হোটেলে নিয়ে এসে একটি রুমের মধ্যে বন্দি করে রাখে এবং মারধরও করে তাছাড়া আমার স্ত্রীকে ফোন করে ৫লক্ষ টাকা চাই।তখন আমার স্ত্রী কথামত তাদের ব্যাংকের একাউন্টে ৫০হাজার টাকা পাঠায় ।এবং বাকি টাকা নিয়ে সূর্য নিবাস হোটেলে আসতে বলা হয় কিন্তু ১৭তারিখ সোমবার ভোর বেলায় কোনকারনে তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে আমি পালিয়ে যায় এবং পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলি পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এবং প্রাণ রক্ষা করে।
তবে মাইথন ও কল্যানেশ্বরী সংলগ্ন হোটেল গুলি ধীরে ধীরে অপরাধীদের আস্তানা গড়ে উঠছে ।
কখনো দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে আবার কখনো অপহরণকারীদের ।তাছাড়া দেহ ব্যবসাতো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে । তার উপর কিছু টাকার লোভে অপহরণকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে হোটেল গুলিতে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাইথন থানার পুলিশ।