মোল্লা জসিমউদ্দিন,
ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রথযাত্রার সূচনা ঘটিয়েছেন বাংলায়।কোথাও উৎসাহ উদ্দীপনা, আবার কোথাও মিশ্র চাঞ্চল্য দেখা গেছে এই রথযাত্রা কে ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপির রথযাত্রায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন মামলাকারী আইনজীবী। তবে কলকাতা হাইকোর্ট এহেন অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারীতে রাজি নয়।এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার। ওইদিন আবার বাংলায় বিজেপির রথযাত্রায় আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের।এই মামলায় বিজেপি কে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। তাই আগামী বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে আইনীভাবে রথযাত্রার বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটি কে রথযাত্রা না বলে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন যাত্রা হিসাবে তুলে ধরছে। গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে রমাপ্রসাদ রায় নামে এক আইনজীবী বিজেপির ঘোষিত রথযাত্রা নিয়ে মামলা দাখিল করেছেন। মূলত রথযাত্রাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে দাখিল করা পিটিশনে জানানো হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারিতে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা ( রথযাত্রা) শুরু হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন নবান্ন স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অনুুমতিবিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানিয়েছে।গত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে এহেন রথযাত্রার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে সেবার গোয়েন্দা রিপোর্ট কে হাতিয়ার করে রথযাত্রা আটকানো গেছিল বাংলার বুকে।তবে বহু চর্চিত একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হিন্দুত্ব কে হাতিয়ার করে রাজ্যের ৫ জায়গা থেকে রথযাত্রা বের করবার চরম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। টার্গেট হিসাবে সনাতন হিন্দুদের পীঠস্থান নবদ্বীপ ধাম, তারাপীঠ, কোচবিহার, বেলুড় আবেগময় স্থান গুলি কে রাখা হয়েছে। উদ্বোধক হিসাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ইতিমধ্যেই রথযাত্রা সূচনা করে দিয়েছেন ।রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্র কে ছুঁয়ে যাওয়ার ছক কষে ফেলে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব।তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির রথযাত্রা বাংলায় অন্য মাত্রা এনে দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।