জামুড়িয়া ২নং ব্লকের উদ্যোগে তপসিতে এক রক্ত দান শিবিরের উদ্বোধন করলেন কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী ও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারী
কাজল মিত্র
– তৃনমুল যুব কংগ্রেসের জামুড়িয়া ২নং ব্লকের উদ্যোগে তপসিতে সোমবার এক রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী ও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি যৌথ ভাবে সেই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন ২০২১ সালে বিজেপি বলছে
ক্ষমতা এসে জনতার সেবা করতে হবে।কিন্তু জনতার সেবা ক্ষমতায় এলেই হবে আর না এলে হবেনা সেটা কি ধরনের যদি মন থেকে সেবার ইচ্ছা থাকে তবে সবরকম ভাবেই করা যায় শুধু দিল্লিতে বসে টিভির সামনে বক্তৃতা দিলে হয়না তারজন্য জনগনের মাঝে থাকতে হয় ।আর আমাদের তৃণমূলের সরকার সবসময় জনগনের মাঝে থেকে সেবা করতেই ভাল বাসে আর সেইজন্যেই গত ২ মাসে গোটা জেলায় আমাদের দলের কর্মীরা,২০০ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে।তবে আমাদের
কাছে কোন খবর নেই যে এই সময়ে বিজেপি একটাও রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করেছে কি না। তবে আমরা যে রক্তদান শিবির করি সেই রক্ত আসানসোল জেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে কাজে লাগে সেখানে যেকোন রোগী হোকনা কেন আর যে দলেরই রোগী হোকনা কেন ।কারন রক্তের কোন ধর্ম, বর্ণ, ও রাজনৈতিক রঙ নেই। এই রক্ত যাদের দেওয়া হচ্ছে, তারমধ্যে অনেকেই বিজেপি, সিপিএম, সমর্থক এর পাশাপাশি হিন্দু , মুসলিম,ও ক্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের মধ্যেই প্রবেশ করে ।একজন তৃণমূলের শরীরের রক্ত সিপিএম কর্মীর শরীরেও বইতে পারে আবার বিজেপির শরীরেও
বইতে পারে।তাই বিজেপি শুধুমাত্র ধর্ম ও বর্ণের রাজনীতি করে কিন্তু তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীরা কোন ধর্ম বর্ণ দেখে রাজনীতি করেনা ।
জিতেন্দ্র তেওয়ারী বলেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভালো করে জানেন যে এই সংকটের সময় তৃনমুল কংগ্রেস এর কর্মীরাই সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। তারজন্য রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া ও দূর্গাপুর পূর্বের বিশেষ দায়িত্ব কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে।তারজন্য তিনি লাগাতার এইসব এলাকায় যাচ্ছেন। কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী বলেন, রক্ত দান শিবিরের আয়োজনে এই পশ্চিম বর্ধমান জেলা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে।যারা তৃনমুল কংগ্রেসকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন তারাই এখানে রক্ত দান করছেন৷ সেই রক্তে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচছে। রক্তের কোন জাত, ধর্ম ও রং হয়না। তৃনমুল কংগ্রেসের সৈনিকরা রক্ত দান করে জীবন দান করছেন। তিনি আরো বলেন,গত ৪ মাসে এখানের সাংসদকে সংকটের সময় দেখা যায় নি। এটা সত্যি যে, যখন সংকট আসে, তখন কোন রকম ভেদাভেদ না করে, তৃনমুল কংগ্রেসের সৈনিকরা কাজ করেন৷ এই রকম সামাজিক কাজ কেউ করেনা৷ বাবুল সুপ্রিয় ২০১৪ ও ২০১৯ সালে ভোটের সময় দেখা যায়। যেমনভাবে দীপাবলির সময় কিছু পোকা আসে। আবার দীপাবলির পরে গায়েব হয়ে যায়। সেই মতো এরাও ভোটের পরে গায়েব হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে তৃনমুল কংগ্রেস পুরো ক্ষমতা নিয়ে আবার আসবে। তারজন্য শপথ নিতে হবে যে,২০২১ সালে জামুড়িয়া বিধান সভা আসন জিতে দিদিকে উপহার হিসাবে দেবো। তারজন্য সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বাস্তবিকতা বোঝাতে হবে।