রাজ্যের কাছে রাস্তা ফেরৎ চাইলো বিশ্বভারতী

Spread the love

রাজ্যের কাছে রাস্তা ফেরৎ চাইলো বিশ্বভারতী

     খায়রুল আনাম,

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের বিশ্বভারতীকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার পরে, সোমবার ২৫ আগস্ট বিশ্বভারতীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রথম বৈঠকটি হলো শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ ও অন্যান্যরা। বিশ্বভারতীর পক্ষে বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে রাজ্য সরকার, বোলপুর পৌরসভা ও শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্যদের যে মত পার্থক্য ছিলো, তার অবসান হয়েছে বলে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ স্বীকার করেছেন। বিশ্বভারতীর দাবি মেনে বিশ্বভারতীর চারপাশের রাস্তা মেরামত ও সংস্কার রাজ্য সরকার করে দেবে বলে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন।
এদিনের বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন ক্লাব মোড় থেকে শ্রীনিকেতনের কালিসায়র মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার যে পাকা রাস্তা রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের হাতে রয়েছে তা বিশ্বভারতীকে হস্তান্তরের দাবি জানালে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্য পূর্ত দপ্তর ২০১৭ সালে এই রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে হস্তান্তর করলেও, পরবর্তীতে ২০২৩ সালে রাস্তাটি পুনরায় ফিরিয়ে নেয়। বর্তমানে এই রাস্তাটি রাজ্য পূর্ত দপ্তরের হাতে রয়েছে। এই রাস্তার পাশেই রয়েছে শান্তিনিকেতন উপাসনা গৃহ বা কাঁচ মন্দির, ছাতিমতলা, উত্তরায়ণ, নন্দন, কলাভবন, সঙ্গীত ভবন, মাটির কালো বাড়ি-সহ বিশ্ববিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের কলের ডাক, সাঁওতাল পরিবার, সুজাতা, মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযান থেকে শুরু করে ধ্যানমগ্ন গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। যেগুলি বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এগুলির সামনের রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে, এগুলির স্থায়ীতে চাপ পড়ার কারণেই, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই রাস্তা নিজেদের হাতে নিতে চাইছে বলেই বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *