রানি বিড়লা গার্লস কলেজ কান্ডে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করলো ডিভিশন বেঞ্চ 

Spread the love

রানি বিড়লা গার্লস কলেজ কান্ডে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করলো ডিভিশন বেঞ্চ 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

শুক্রবার রানি বিড়লা গার্লস কলেজকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ তথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রানি বিড়লার প্রিন্সিপালের শোকজ নোটিসের ওপর স্থগিতাদেশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কাউন্সিলর কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায়  ও বাকি সদস্যরা।বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গলবেঞ্চের রায়ে কোন হস্তক্ষেপ করেনি। রানি বিড়লা গার্লস কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষা শ্রাবন্তী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শোকজ় নোটিস জারি করেছিলেন। সেই নোটিসের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সিঙ্গেল  বেঞ্চ। অধ্যক্ষাকে শোকজ ও সাসপেন্ড করার নির্দেশে, দুটির ওপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যান কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আর্জি ছিল, প্রিন্সিপালকে কলেজে ঢুকতেই দেওয়া যাবে না। অন্তত দশদিন তাঁকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এদিনের মামলায় এই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, “রাজ্য সরকার কীভাবে গভর্নিং বডিকে রেকমেন্ড করতে পারে?” তখন আইনজীবীর মামলাকারী  জানান, ২০১৭ আইন অনুযায়ী, সরকার গভর্নিং বডিকেও রেকমেন্ড করতে পারে।২০২৫ সালের ৯ জুন প্রেসিডেন্ট পদে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাকি দুজনের নাম পাঠায় রাজ্য। প্রিন্সিপাল কাউকে না জানিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা করেন। মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “আমরা অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাই। যদিও অধ্যক্ষা কোনও উত্তর দেননি প্রেসিডেন্টকে।২৮ অগস্টে সাসপেন্ড ও শোকজ করা হয় সরকারের তরফে। সাসপেনসনের পরেও প্রিন্সিপাল কলেজে গিয়েছিলেন, তাতে তাঁর নাকি যুক্তি ছিল, সমাজকে পরিশোধিত করতে হবে।” বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “প্রিন্সিপাল কলেজের কাজ করতে যাবেন এতে সমস্যার কিছু নেই।” তখন মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “আমরা চাইছি না উনি কলেজে প্রবেশ করুন। অন্তত দশ দিন কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। কলেজের জিবি ভাঙার ক্ষমতা সরকারের আছে।” তিনি আরও বলেন, “ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ বলে উনি চাবি নিয়ে রেখেছেন কাউকে দিচ্ছেন না। কীভাবে সই করছেন, কলেজে ঢুকতে ও জিনিসপত্র ব্যবহার কেন করছেন?” এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী তখন বলেন, “সভাপতি কি অধ্যক্ষাকে এমন নির্দেশ দিতে পারেন?” রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, “জিবি না কাজ করতে পারলে, রাজ্যের ক্ষমতা আছে কিছু সময়ের জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া। তবে কলেজ ও প্রিন্সিপালের মধ্যেকার বিষয়ে রাজ্য ঢুকতে চাইছে না।” এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি খারিজ করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *