রাস্তায় নির্মলতা আনতে প্রতিদিন ঝাড়ু দেয় সনৎ
দীপঙ্কর চক্রবর্তী,
ছোট বয়স থেকে তার মনে সাধ ছিল কখনও সময় পেলে সমাজ সেবা করবেন।নবদ্বীপ কলেজ থেকে পড়া শেষ করে বাড়ির পাশে একটি ছোট দোকান শুরু করেন।মোটামুটি একটু সাবলম্বি হলে তার সেই দীর্ঘদিনের মনের ইচ্ছাটা পুরন করতে নেমে পরেন।কি সেই ইচ্ছা।পূর্বস্হলীর ধারাপাড়ার বয়স বেয়াল্লিসের সনৎ কুমার মন্ডল বলতে থাকেন -আমি গত পাঁচ বছর যাবৎ পূর্বস্হলী থানার মাঠ থেকে কাষ্ঠশালী পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পাকা মানুষ চলাচলের রাস্তা নিত্যদিন সাফাই করি।রাস্তা পরিস্কার দেখলে আমার মনটা খুব ভালো লাগে।পরিবেশও সুন্দর থাকে।রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন,স্কুল, কলেজের ছলেমেয়েরা ও চলাচল করে।সকলেই আমার এই কাজ দেখে খুব খুশি।সকলে আমার এই কাজের জন্য উৎসাহ দেয়”।আমার বাবা শঙ্কর মন্ডল,মা পার্বতী,ভাই সমীর মন্ডল দাদা র এই কাজে প্রথমে উৎসাহ দিতে পারেনি।কে কি বলবে?কিন্তু কিছু দিন পর সকল মানুষ খুব ভালো কাজ হচ্ছে উৎসাহ দেয়।তখন থেকে আমরা আর বাধা দিই নি।সনৎ বলে চলেন তার যৌথ পরিবারে বাস।মা,বাবা,ভাই ও তার স্ত্রী,দুই মেয়ে নিয়ে সংসার।থানার ভিতর বা স্টেশনে ঝাট দেওয়া যাবে না।তার অনুমতি থাকলে সেখানেও আমি ঝারু দিতাম।তার এই কাজে র প্রশংসা করে পূর্বস্হলীর স্টেশন ম্যানেজার অবনী ভূষন বালা,কবি ও সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস,শিক্ষক সন্দীপ ভট্টাচার্য্য,মিঠুন ঘোষ,সুবোধ ঘোষ, অসিত ভট্টাচার্য্য রা বলেন- “সনতের প্রতিদিন চারঘন্টার এই রাস্তা সাফাই খুব ভালো উদ্যোগ।ওর এই সমাজ সেবা মূলক কাজের প্রশংসা করছি।ও এলাকা কে দূষন এবং নোংরা থেকে মানুষদের ছোট শিশুদের সুস্হ রাখছে।প্রতিদিন ভোর সারে চারটে থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত সে এই কাজ করে তার পর সে দোকান খোলে। সারাদিন চলে সংসারের জন্য তার কাজ”।সনৎ বলেন এই পাঁচ বছরে কোন সরকারী বা বেসরকারী কোথাও থেকে তাকে সেভাবে কোন সন্মান কেউ দেয় নি। শারদ অর্ঘ্য পত্রিকার সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস বলেন -তার এই সমাজ সেবা মূলক কাজের জন্য আমরা সংবর্ধনা দিয়েছি।সনৎ বাবু জানান তার প্রতিবেশি রনজিৎ পন্ডিত,বাদল সেখ বলেন সনৎ এর এই কাজ সকলের উপকার হয়।এলাকা সুন্দর থাকে।আমার যতদিন শরীর ভালো থাকবে,সুস্হ থাকবে প্রতিদিন আমি এই কাজ চার কিলোমিটার রাস্তা ঝাট দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে যাবো।বাদল সেখ আমাকে প্রথম ঝাটা বানিয়ে দিয়ে উৎসাহ দিয়েছেন রাস্তা ঝাট দিতে।