জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
উদ্দেশ্য যাই থাকুক, ইংরেজ আমলে ১৮৫৩ সালে ভারতে প্রথম রেল ব্যবস্হা চালু হয়। তারপর ধীরে ধীরে রেল ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্হার ‘লাইফ লাইন’ হয়ে ওঠে।কম খরচে সাধারণ মানুষ প্রতিটি রাজ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়।স্বাধীনতার পর রেল পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করতে থাকে।সংসদে আলাদা ‘বাজেট’ পেশ হতে থাকে। রেলকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চাকা সচল হতে থাকে।
কিন্তু বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে রেলের পৃথক ‘বাজেট’কে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। পরীক্ষামূলক ভাবে একটি ট্রেনকে বেসরকারি সংস্হার হাতে তুলে দেয়। এখন আবার শতাধিক ট্রেনকে বেসরকারি সংস্হার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দল অদূর ভবিষ্যতে রেলকে পুরোপুরি বেসরকারিকরণের আশঙ্কা করছে।
তারই প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৭ ই জুলাই পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুসকরা স্টেশনে এক অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এক ঘণ্টার এই অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, আউসগ্রাম ১ নং ব্লকের সভাপতি সালেক রহমান, কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী, শহর যুব তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম এবং শহর সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী সহ স্হানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকের গলায় বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লাকার্ড ছিল।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিটি বক্তা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
কুশল বাবুতো গত ছ’বছরে বিজেপি সরকার দেশকে কতগুলি সরকারি প্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছে সরাসরি তার হিসাব চান। তিনি আরও বলেন – সমস্ত সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়াটাই যেন এই সরকারের একমাত্র কাজ হয়ে উঠেছে।