রেলের জমিতে অবৈধ দখল – উচ্ছেদ ঘিরে উত্তেজনা
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -:
ওরা গরীব মানুষ। আসানসোলে জিটি রোডে ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের সামনে দোকান করে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করে। অভিযোগ ওই জায়গাটা রেলের এবং ওরা অবৈধভাবে ওই জায়গা দখল করে দোকান করেছে। অবৈধভাবে দখল করে রাখা জায়গা রেল কর্তৃপক্ষ দখলমুক্ত করতে এলে উচ্ছেদ করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিক ও আরপিএফ জওয়ানরা।
উচ্ছেদের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া ও পিন্টু গুপ্ত এবং উপস্থিত রেল আধিকারিকদের কাছে দখল উচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এটা নিয়েই উভয়ের সঙ্গে উপস্থিত রেল আধিকারিকদের তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। তাদের জানানো হয় উচ্চ মহলের নির্দেশ পাওয়ার পরই এই দখল উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। রাজু বাবু তাদের স্পষ্টভাবে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পর ও দোকানের কাগজপত্র দেখে তবেই উচ্ছেদ করা যাবে।
পরে রাজু বাবু সাংবাদিকদের বলেন, এইদিন রেলের তরফ থেকে দখল উচ্ছেদ করতে আসা হয়েছিল। আমাদের বক্তব্য ওরা গরীব মানুষ। ওরা তো চুরি ডাকাতি করেনি! এভাবেই ওরা জীবিকা নির্বাহ করে। ওদের উচ্ছেদ করা হলে ওরা খাবে কী? আসলে কেন্দ্র সরকার এভাবেই ওই গরীব মানুষদের পেটে লাথি মারছে। রেলের তরফে পুঁজিপতিদের নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে জমি লিজ দেওয়া হলেও গরীবদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষ সরকার চলছে, শ্রমিক নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক আছেন। তার দাবি দোকানদারদের সম্মিলিত বাধার ফলে রেল আধিকারিকরা দোকান উচ্ছেদ না করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
যদিও রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রেলের কোনো জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করে রাখতে পারেনা, সব জমি দখল মুক্ত করা হবে।