শহরের ট্রাফিক গার্ড ও ‘প্রয়োজন’ এনজিওর বাচ্চাদের সাথে, এই বছর আচার্য্য তুলসী অ্যাকাডেমি অর্কিড্স দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা, একযোগে ‘যুগ্ম’ দীপাবলি উদযাপন করেছে
রাজেন বিশ্বাস,
কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উৎসব উপলক্ষ্যে নিউটাউনের পুলিশ স্টেশন এলাকায় গেছে এবং বাকি ছাত্রছাত্রীরা ‘প্রয়োজন’ নামক অলাভজনক সংস্থার বাচ্চাদের সাথে স্কুলে দিওয়ালি উৎসব পালন করেছে।
অর্কিড্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা শহরের ট্রাফিক গার্ড ও ‘প্রয়োজন’ সংস্থার বাচ্চাদের উপহারস্বরূপ তাদের নিজের হাতে তৈরি প্রদীপ ,মোমবাতি এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে
কলকাতা, শনিবার, ২২শে অক্টোবর ২০২২: বিগত দু’বছর ধরে ছোট স্তরে দীপাবলি উদযাপনের পরে, নিউটাউন, কোলকাতার অর্কিড্স দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (OIS), শহরের ট্রাফিক গার্ড ও সমাজের পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের উন্নতির জন্য কাজ করে চলা, ‘প্রয়োজন’ এনজিওর বাচ্চাদের সাথে উদ্দীপনা ও উৎসাহের সাথে দীপাবলি উদযাপন করেছে। এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিউটাউন পুলিশ স্টেশন এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক গার্ডদের সাথে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করেছে এবং সমাজের প্রতি তাঁদের প্রদান করা পরিষেবার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। রাজারহাট এলাকার এনজিও ‘প্রয়োজন’ গ্রুপের অন্তর্গত বাচ্চারা অর্কিড্স স্কুলে এসেছে যেখানে পূর্ণ উদ্দীপনার সাথে তারা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দীপাবলি উৎসব উদযাপনের অংশীদার হতে পেরেছে। এই উপলক্ষ্যে OIS স্কুলের বাচ্চারা, ট্রাফিক গার্ড ও এনজিওর বাচ্চাদের উপহার স্বরূপ, অসাধারণ সুন্দর, হাতে-তৈরি দিয়া, মোমবাতি ও মিষ্টি প্রদান করেছে।
“উৎসব এমনই একটা সময় যখন আমরা একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারি। আলোর উৎসবের পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা আমাদের ট্রাফিক গার্ডদের সাথে একত্রে একটি দিন উদযাপন করতে পেরে নিজেদের গর্বিত অনুভব করছি, যাঁরা আমাদের শহরের যানচলাচল তথা ট্রাফিককে প্রতিনিয়ত ম্যানেজ করে চলেন এবং তার সাথে সাথেই আমাদের শহরের যানবাহনকে সদা সর্বদা গতিশীল রাখতে নিরন্তর প্রয়াস করে চলেন। আমাদের প্রতিটি দিন তথা আমাদের জীবনকে অনেক বেশি সহজ ও স্বচ্ছন্দ করে তোলার জন্য আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং একই সাথে আমাদের ছাত্রছাত্রীরাও তাঁদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পেরে রোমাঞ্চিত অনুভব করেছে। স্কুলে দীপাবলি উৎসব উদযাপন চলাকালীন ‘প্রয়োজন’ এনজিওকে আমাদের বাচ্চাদের পাশে পাওয়া বাস্তবতই আমাদের বিশেষ আনন্দ ও সন্তোষ প্রদান করেছে। আমাদের একথা ভেবে খুব ভাল লাগছে যে সেইসব বাচ্চারা আমাদের সাথে দীপাবলি উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে এবং উৎসবের অনেক সুন্দর স্মৃতিকে সাথে নিয়েই তারা ফিরে গেছে। বিগত দুই বছর ধরে ছোট স্তরে উদযাপনের পরে, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দীপাবলি উৎসবের উদযাপনে প্রতিটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে পূর্ণ উদ্যম ও উদ্দীপনায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে দেখেও আমাদের খুব ভাল লেগেছে”, অর্কিড্স দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, নিউটাউনের প্রিন্সিপাল, মিসেস শর্মিলি শাহ একথা বলেন।
স্কুলে যেসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তার মধ্যে রঙ্গোলি আঁকা, প্রদীপ অলঙ্করণ, মিউজিক ও ডান্স প্রোগ্রাম, নন-ফায়ার ও নন-গ্যাস অ্যাক্টিভিটি ও অন্যান্য প্রোগ্রাম ছিল, যাতে স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই খুবই আনন্দ ও উদ্দীপনার সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাছাড়া, ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে দীপাবলি উপলক্ষ্যে উপহার দিয়ে আনন্দ উৎসবে পারস্পরিক উপহার দেওয়া ও ভাগ করার সংস্কারকেও একসাথে উদযাপন করতে সক্ষম হয়েছিল।
অর্কিড্স দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সম্পর্কে দু-চার কথা
অর্কিড্স – দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (OIS) হল ভারতে ইন্টারন্যাশনাল K12 (কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত) স্কুল চেইনগুলির মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান এবং এই সংস্থা 2002 সালে হায়দ্রাবাদে তার প্রথম শাখা প্রতিষ্ঠা করে যাত্রা শুরু করেছিল। দু’দশকেরও কম সময়ের মধ্যে এই সংস্থা ভারতের 25টিরও বেশি প্রধান শহরে তার শাখা স্থাপন করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শহরগুলি হল – মুম্বই, বেঙ্গালুরু, পুণে, হায়দ্রাবাদ, গুরগাঁও, চেন্নাই, কোলকাতা, নাগপুর, নাসিক, ইন্দোর, ঔরঙ্গাবাদ ইত্যাদি। আধুনিক লুক ও ফিলের ইমারত ও উপযুক্ত পরিকাঠামো, প্রতিটি ব্যক্তির জন্য আলাদা আলাদা, পছন্দমতো সাজিয়ে নেওয়া তথা কাস্টমাইজ মনোযোগ ও অতি সযত্নে ও যথোপযুক্ত মনোযোগ সহকারে তৈরি করা কারিকুলাম বা শিক্ষণ বিষয়বস্তু ও তার পরিধি সমস্ত OIS স্কুলের জন্য একইরকমভাবে প্রবর্তিত হয়েছে। OIS স্কুলগুলি CBSE (সিবিএসসি) ও ICSE (আইসিএসই) সিলেবাস তথা কারিকুলাম অনুসরণ করে এবং তার সাথেই আন্তর্জাতিক মানের ও লেভেলের শিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, যাতে শিক্ষাগত উৎকর্ষতার সাথে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপর বিশেষ জোর দেওয়া যায়। বর্তমানে OIS প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সর্বমোট 75,000 জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ও 7,000 জনেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী যুক্ত রয়েছেন।
অর্কিডের মূল অ্যান্থেম হল “মনের বিকাশ করা, প্রতিটি জীবনকে স্পর্শ করা” (Shaping minds, Touching lives)