শহীদ তৃণমূল নেতার স্মরণসভা ঘিরে খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দের চিত্র প্রকাশ্যে,
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম,
তৃণমূলের শত্রু সিপিআইএম নয়, তৃণমূলের শত্রু কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের শত্রু বিজেপি নয় তৃণমূলের শত্রু তৃণমূলই – হ্যাঁ সম্প্রতি তৃনমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে কথাটা বলেন জেলা তৃণমূলের এক নেতা। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজয়া সম্মিলনী থেকেই ভোটের প্রচার পর্ব শুরু হয়েছে বলা চলে। বিধানসভা ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য সকলেই মিলে জোটবদ্ধভাবে চলার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু আহ্বান জানানোই হয়েছে কার্যকর কিছু হয়নি।তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুধবার খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি দলীয় কার্যালয়ে পৃথক পৃথক ভাবে শহীদ তৃণমূল নেতার স্মরণসভা ঘিরে। জানা যায় তৎকালীন খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ২০১৮ সালের ২২ শে অক্টোবর আততায়ীর হাতে খুন হন। সেই নেতার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পুরাতন কার্যালয়ে। অন্যদিকে পৃথক ভাবে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কার্যালয়েও উক্ত নেতার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে দুটি কার্যালয়ের মধ্যে একই নেতার স্মরণসভা ঘিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পুরাতন কার্যালয়ে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহীদ অশোক ঘোষের পুত্র তথা শহীদ দীপক ঘোষের ভাইপো বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন বাবা,কাকারা এই কার্যালয় থেকে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং বামফ্রন্টকে উৎখাত করে ছিলেন তাই অফিসটি স্মৃতি বহন করে। পাশাপাশি সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিধানসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খয়রাসোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর, স্বপন সেন, বিকাশ ঘোষ, শঙ্কর গড়াই,অজিত ধীবর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল কুমার গায়েন এবং দুই সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরী ও কাঞ্চন দে। এছাড়াও ছিলেন বড়রা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ জয়নাল,উৎপল ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে সংলগ্ন এলাকায় দুটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত ঘিরে ফের খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দের চিত্র প্রকাশ্যে আসে। উল্লেখ্য সদ্য রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ব্লক ভিত্তিক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে যেমন দলের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীর দিনেও সেই অংশটা দূরে সরে আছে। বিশেষ উল্লেখ্য জেলার ১১ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে দুবরাজপুর বিধানসভা আসনটি বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নেয়। যদিও এবার পুনরুদ্ধারে জোর দেওয়া হয় কিন্তু প্রবল গোষ্ঠী দ্বন্দের জেরে তৃণমূল কি তাদের পুরনো আসন ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে? এই প্রশ্ন এলাকায় ঘুরপাক খাচ্ছে।সময় কথা বলবে।
