সিঁড়ি
কালো ভ্রমর (কলকাতা)
তুমি সিঁড়ি পেলেই
কি সুন্দর তরতরিয়ে উঠে যাও
দৃষ্টি যতদূর সুগম পদাঘাতে এগিয়ে যাও
আর আমি বরফের বুক কেটে কেটে
ধাপ গড়তে থাকি আবদারে
তুমি টের পাও না।
তোমাকে কষ্ট দেবো না বলে
জুবুথুবু শুষ্ক শরীরেও ঘাস পেতে রাখি
ক্লেদাক্ত মাটি তোমাকে স্পর্শ করতে পারে না।
তবু তোমার সমস্ত আকাঙ্ক্ষা জুড়ে
আকাশ ছোঁয়ার নেশা
কোথাও এতটুকু থমকায় না।
শাবলের ঘায়ে আরোহণ করো হিমালয়
আমি ক্ষত বিক্ষিত বুকেও থাকি নির্লিপ্ত
তুমি পেছন ফিরে তাকাও না।
অথচ কথা ছিল একে অপরের সিঁড়ি হবো
হাতে হাত রেখে, পাশাপাশি অনেকটা পথ যাবো
এখন দেখি তুমি আরোহনে, আমি চরণে
তুমি আবেশে আমি ভরণে
ক্লান্তি তোমার কাছে ঘেঁষতে পারে না।
আজ হোক বা কাল হয়তো ছুঁয়ে যাবে চূড়া
বাষ্প হয়ে যাবে মাটির অকারণ সব উত্তাপ,
আমিও সিঁড়ি হতে হতে একদিন
চিনে নেবো ঠিক ছোট বড় চরণের ছাপ।
কখনও অসাবধানতায় স্খলন এলে বোলো
যদি কালে কালে ফেরে অকালের ডাক
আমি উত্থানেও ছিলাম, পতনেও আছি
স্বর্গ থেকে পাতাল তোমার নিরবিচ্ছিন্ন ধাপ।