সুখ এক মরীচিকা
সঙ্গীতা মুখার্জী মণ্ডল (খাাঁটপুকুর, পশ্চিম বর্ধমান)
নিজের ভার নিজে সামলে উঠতে পারছি না।
অসহায়তা জিততে পেরেছি কি না জানা নেই
ঘর থেকে ঘর, প্রাসাদ, আমার নিজস্ব কোনো ঘর নেই।
রাস্তাগুলোর আত্মপ্রকাশ নেই, শেষ রাতের কদমের মতোই
স্নানের আগেই তো বলি হয়েছে প্রত্যেকটি সুবিধা
সহ্য এক অসীম দান,
বিরোধী অন্ধকার থেকে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলেও
বোবা বিষ ঢেলে দেয়।
লিখতে গেলে কলমের নিব ভোঁতা হয়ে যায় বারবার
ভিক্ষায় সংসারকে চাইলে ঈশ্বর শুধু যন্ত্রণা উপহার দিয়েছেন।
সুখ এক মরীচিকা, যেখানে শান্তির ঠিকানা পাল্টে যায়;
মা বলেছেন মাটির প্রতিমা কথা বলে না তো,
বাবা বলেছেন বিশ্বাস এক অমোঘ আকর্ষণ,
আর আমি বিশ্বাসে তারা গুনতে থাকি রোজ।
বিধাতা নামক এক অস্তিত্বকে সাক্ষী রেখে
আমি উবে যেতে চাই হঠাৎ কোনো এক দিনের না হওয়া রাতে।
আমার কোনো আপত্তি নেই মায়ার বশীভূত হতে
যদি তুমি সঙ্গ দাও হে ঈশ্বর
আমার শরীর থেকে মন নামক উপাদানটিকে তুলে নিয়ে
আমাকে এক অমানুষ করে গড়ে তোলো
এখানে অমানুষের ভিড়ে মানুষ হারিয়ে গেলেও
কারও কোনো হেলদোল থাকে না, দুঃখ তো দূর।