স্বার্থের ভালোবাসা
স্বপ্না ব্যানার্জী
শ্রাবণের গরম বাতাসের খোঁজ করে
সকালের সূর্য খবর পাঠায় সে এখন মেঘ
সরিয়ে আসতে পারবে না,
এদিকে সীমান্তের ওপারে সমুদ্রোচ্ছ্বাস
তাড়া করে ফিরছিলো আর আছড়ে পড়ছিলো পাড়ে।
তোমার আপাত নিরীহ শান্ত চোখ ভালোবাসা
আর আবেগে একবুক স্বপ্ন দেখার আছিলায়
এলোমেলো বাতাসে রাতের গন্ধরাজ সুরভিত
পথের মতো আমাকে নিজের করে নিতে চাইছে,
তোমার জীবন আনন্দ চোখের তারায় গতি বাড়ায়
তোমারি লুটোপুটি করা সজীব সত্তা
আমিও একটু একটু করে অনুভব করি
তোমার চাওয়া পাওয়া শব্দ ব্যবহারের বদল।
স্বাদ আর পছন্দ অপছন্দের যুক্তি
জমাট বেঁধে প্রতিদিন বড় হই
একটু একটু করে
আমার রাতের আকাশের তারা, ঘরের মেঝেতে
হাসে। আর আমাকে বিদ্রূপ করে বলে
দেখতে পাওনা – দূরে উড়ে চলা পাখিকে?
শুনতে পাওনা শিশির ঝরার কান্না?
বুঝতে পারোনা – ক্লান্ত দুপুরে নদী টা কে?
জানতে চেষ্টা করোনা – মাঝি মাল্লার দুঃখের গান?
এত ভালবাসা রাখ কোথায় তুমি?
এই পরিবর্তিত পৃথিবীর জঠোরে?
চিতার ছাই খুঁজে ফেরে ঠিকানা, অনেক ঠকেছো।
এবার দ্বার খোলো, পুতুল খেলার
অবসান হবে এবার, সংকেত পৌঁছে রঙ হারিয়েছে,
ভালবাসা স্বার্থের নাম, লিখেছিল খেলার ছলে।
দিন শুধু মনে পড়ায়।