হাতে আঁকা ক্যালেন্ডারের প্রতি পাতায় মাস অনুযায়ী শাকসবজির বীজ
সেখ সামসুদ্দিন, ২৭ মার্চঃ আর মাত্র কয়েক দিন পরেই বাঙালির প্রিয় নববর্ষ। চৈত্রের বকেয়া মিটিয়ে বৈশাখকে বরণ করতে প্রস্তুত সকলেই, ইংরেজি নববর্ষের ক্যালেন্ডারের চাহিদা থাকে সরকারী নানান কাজকর্মের জন্য। কিন্তু অপরদিকে নানা আচার অনুষ্ঠান, পুজো পার্বণ কিংবা উৎসবের জন্য আজও বাঙালিদের প্রয়োজন বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার, আর তাই বিগত বছরের মতন এইবারেও পুরোপুরি হাতে আঁকা বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ চলছে। সুইচ অন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রবীর আর্ট কর্ণারের শতাধিক ছাত্রছাত্রী শুরু করেছে এই কাজ, এর আগে হাতে লেখা পুজো বার্ষিকী এই জেলাতেই নজর কেড়েছে। ধরে রেখেছে তাদের ঐতিহ্য, আর এবার হাতে আঁকা ক্যালেন্ডার। উদ্যোক্তাদের পক্ষে সন্দীপন সরকার জানান, এই ক্যালেন্ডার তৈরিতে ভেষজ রঙ ব্যবহার হচ্ছে, চাহিদা তুঙ্গে এই হাতে আঁকা ক্যালেন্ডারের, পরের বার বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরীর ভাবনা রয়েছে আমাদের, যাতে শিল্পীরা কিছু আয় করতে পারে। এই ক্যালেন্ডারের বড়ো বিশেষত্ব হল প্রতিটি মাসের পাতায় থাকবে কোনো না কোনো শাকসবজির বীজ লুকোনো। মাস ফুরালে সেই ফেলে দেওয়া পাতা থেকেই জন্ম নেবে নতুন গাছ। প্রবীর আর্ট কর্ণারের শিক্ষক তথা এই কর্মশালার প্রশিক্ষক প্রবীর হালদার জানান, পয়লা বৈশাখের আগেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পুলিশ সুপার, জেলাশাসককে তাঁরা এই ক্যালেন্ডার উপহার হিসাবে তুলে দেবে, কোথাও সশরীরে কোথাও ডাক যোগে। নানা ক্ষেত্রে সুইচ অন ফাউন্ডেশন বর্ধমানের বাইরে কলকাতায় ও রাজ্য স্তরে এই ক্যালেন্ডারকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ভাবনা থেকেই শিল্পীদের কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তার জন্য আরো বৃহৎ আকারে উদ্যোগে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি , গাছমাস্টার তথা জাতীয় শিক্ষক অরূপ চৌধুরী এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন ক্যালেন্ডারে গাছের বীজ, সম্পূর্ণ নতুন ভাবনা, সবুজায়নে ও পরিবেশ রক্ষায় এটা কার্যকরী উদ্যোগ।