হাস্য কর হাস্যকর
নীহার চক্রবর্তী (বেথুয়াডহরি, নদীয়া)
শুনে আমি তো অবাক।
হাসিও পেল খুব। তবে হাসতে পারলাম না। মুখের সামনে হাসা যায় বুঝি?
লোকটার নাম হাস্য কর।
সে সাবলীলভাবে বললেও আমি মেনে নিতে পারলাম না।
তাকে বললাম, ‘এ হয় নাকি? হাস্য কর নামটা হাস্যকর হয়ে গেল না? বাঙালরা আবার বলবে হাইস্যকর। কি এক অবস্থা।’
আমার কথার উত্তরে সে হাসিমুখে জবাব দিল, ‘সব হয়, সব। কী হয় না, বলুন তো? আর এ তো ভারি একটা নাম। আচ্ছা বলুন তো, মেয়েদের হাসি কর নাম থাকলে ছেলেদের হাস্য কর নাম হবে না কেন? আমার বাবা বুঝেই নামের সঙ্গে পদবি মিলিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার কিছু বলার থাকতে পারে না।’
মনে-মনে তখন বললাম, হাসি কর তো মেয়েদের নাম হতেই পারে। পুরুষের নাম হাস্য কর হতে পারবে না কেন? হোক না হাস্যকর বা হাইস্যকর। নামের মধ্যে তো একটা যুক্তি আছে।
তারপর আর কথাই হয় না।
অম্লান-হেসে তাকে বললাম, ‘সব হয়। সব, সব, সব। শুধু মাতৃসদন হাসপাতালে পুরুষকে ভর্তি নেবে না।’
সে আমার কথায় হেসে অস্থির।
বলে উঠল, ‘ফাজিল কোথাকারে। তা হবে কেন, শুনি? পুরুষের কি বাচ্চা হয়? কীভাবে হবে, বলুন তো?’
এরও কোন উত্তর হয় না। অতএব চ্যাপ্টার ইজ ক্লোজড। শুধু শুনে এটা বেশ লাগল আমি ফাজিল কোথাকারে। কতদিন যে কারও মুখে শুনিনি। ভারি মধুর কিন্তু।