২০০২ এর তথ্যের ভিক্তিতে কেন হচ্ছে এসআইআর? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের 

Spread the love

২০০২ এর তথ্যের ভিক্তিতে কেন হচ্ছে এসআইআর? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এসআইআর মামলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে বললেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ।এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, -‘এসআইআর করার ক্ষেত্রে কী দেখা হচ্ছে, সেটা জানাতে হবে কমিশনকে। আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাঁদের’।মামলাকারীর এও দাবি , -‘এসআইআরের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক’। পাশাপাশি এও জানতে চাওয়া হয়েছিল যে – ‘কেন এসআইআর করা হচ্ছে, এসআইআর করার প্রয়োজন কী, তা বিস্তারিতভাবে আদালতের কাছে জানাক জাতীয় নির্বাচন কমিশন ‘। এছাড়া ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করুক তারা, এই আর্জিও করা হয়। এখন দেখার কমিশন তাদের রিপোর্টে কী জানায়?ভোটারদের নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ এবং ফর্ম ফিল-আপ করার কাজ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ পাবে। ঠিক এর পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযোগ জমা নেওয়ার পর্ব। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন ধাপে অভিযোগ সংক্রান্ত শুনানি হবে।যারা কোনও কারণবশত ফর্ম ফিল-আপ করতে পারবেন না, বা যাদের বাড়িতে গিয়ে বিএলও-রা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাবে না অথবা অন্য কোনও কারণে এনুমারেশন ফর্ম ফিল-আপ হবে না, তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইআরও ও এইআরওর নেতৃত্বে এই শুনানি সম্পন্ন হবে। আপিলের সুযোগও থাকছে – প্রথমে জেলা শাসকের কাছে, পরের ধাপে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে।রাজ্যজুড়ে মোট ৮০ হাজার ৬৮১ জন বিএলও  মাঠে নেমেছেন। সঙ্গে রয়েছেন অতিরিক্ত ১৪ হাজার কর্মী। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটারদের হাতে পৌঁছবে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষের বেশি এনুমারেশন ফর্ম – যার দ্বিগুণ সংখ্যায় ফর্ম ছাপানো হয়েছে।কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের হলফনামা তলব করেছে। এদিন যে মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হল, তাতে আবেদনকারী জানান, এই যে এসআইআর  হচ্ছে, তা ২০০২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে কেন হচ্ছে? কেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কমিশন। ২০০২ সালের তথ্য অনুযায়ী হবে, কেন ২০২৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে হবে না? এর প্রেক্ষিতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য লিখিত আকারা জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, এদিন শুনানি চলাকালীন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে এও জানানো হয় যে, -‘মামলাকারীর বক্তব্য ঠিক নয়। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে’। ২০০২ সালে শেষ বার এসআইআর  হয়েছিল। ফলে সেই ভোটার তালিকা দেখেই এসআইআর -এর গোটা কর্মকাণ্ড, তা সংঘটিত হচ্ছে। ফলে মামলাকালীর বক্তব্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে কমিশন। তাদের সেই বক্তব্যই লিখিত আকারে পেশ করতে বলা হয়।এদিন মামলাকারীরা আরও জানান, দিকে দিকে বিএলও-রা হুমকির মুখে পড়ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা সরকারি কর্মী। তাই তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। এ নিয়ে যদিও কোনও নির্দেশ দেয়নি রাজ্যের উচ্চ আদালত। বরং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, -‘এঁরা সরকারি কর্মচারী। তাঁদের কী ভাবে নিরাপত্তা দিতে, হয় তা ভালভাবেই জানে সরকার। তাই আলাদা করে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই’। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার শুনানি রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *