৩৭১ বছরের পুরানো বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কালী পুজোয় বস্ত্রদান ও নরনারায়ণ সেবা।

Spread the love

৩৭১ বছরের পুরানো বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কালী পুজোয় বস্ত্রদান ও নরনারায়ণ সেবা।

শুভদীপ মন্ডল বাঁকুড়া:—– সারেঙ্গার বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ পন্ডিত উজ্জ্বল কান্তি সিদ্ধান্ত শাস্ত্রীর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের ৩৭১বছরের পুরানো রাজরাজেশ্বরী কালি পুজো উপলক্ষে এক বস্ত্র দান উৎসব ও নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল আজ মঙ্গলবার এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো সহ তার স্ত্রী সহধর্মিনী অধ্যাপিকা অঞ্জনা মাহাতো, বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ,, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারি সভাধিপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শুভাশিস বটব্যাল, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাণী ও মৎস্য কল্যাণ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সুজাতা মন্ডল, সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শেখর রাউত। সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রদ্যুৎ চৌধুরী, সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত মিশ্র, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কবিতা মন্ডল সহ বিশিষ্ট মানুষজন। এদিনের এই বস্ত্রদান শিবিরে প্রায় দুই হাজার দুস্থ মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হল ।এছাড়া এদিন প্রায় দশ হাজার মানুষের মুখে মধ্যাহ্ন প্রসাদ তুলে দেওয়া হয় পুজো প্রাঙ্গণে । এই বস্ত্র দান উৎসব উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত সহ সকলেই বিশিষ্ট পন্ডিত জ্যোতির্বিদ ড:উজ্জ্বল কান্তি সিদ্ধান্ত শাস্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন উজ্জ্বল বাবু আমাদের দক্ষিণ বাঁকুড়ার একজন নক্ষত্র। তিনি যেমন রোজগার করেন তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যে তার কিছুটা অংশ বিলিয়ে দেন। তার এই কর্মকান্ড কে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে তার স্ত্রী সহ তার দুই পুত্র সর্বদা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেন। এই প্রসঙ্গে পন্ডিত উজ্জ্বল কান্তি সিদ্ধান্ত শাস্ত্রীর সহধর্মিনী মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমাদের তো নিজস্ব কিছু নেই। সবেই মায়ের দেওয়া মা যেমন চাইছেন তেমনি হচ্ছে। পুজোর সময় আমরা চেষ্টা করেছি মাত্র কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আপনাদের সকলের সহযোগিতায় তা সম্পন্ন করতে পেরে আনন্দ হচ্ছে। আমরা মনে করি জীব সেবাই শিব সেবা। উজ্জ্বল বাবুর দুই পুত্র অংশুমান ও দীপ্তিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বাবার দেখানো পথেই আমরা চলার চেষ্টা করছি। সমাজসেবাকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে চাই। আজকে মধ্যাহ্ন প্রসাদে সকলের জন্য ছিল খাসি মাংস, ভাত, সবজি, পায়েস মিষ্টান্ন প্রভৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *