মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার দায়ের করা মামলাটি। মূলত রাজ্যের অনুমতি না নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে।এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার আবেদনকারী অনুপ মাঝি ওরফে লালা কে তদন্তে সহযোগিতার শর্তে আপাতত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেপ্তারের হাত থেকে স্বস্তি দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৬ এপ্রিল। তাই ওইদিন পর্যন্ত এই সুপ্রিম আইনী রক্ষাকবচ পাবেন কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। ওইদিনই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জেরাপর্বে রাজ্যের এক্তিয়ার বিষয়ক শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় আরেক অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন।অনুপ মাঝীর পিটিশনের সাথে বিনয় মিশ্রের দাখিল করা পিটিশন একই ( সিবিআইয়ের এক্তিয়ারের প্রশ্ন নিয়ে) বলা যায়। বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র কে ইডি সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে জানতে পেরেছে – কয়লা পাচার মামলায় ১৩০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি ঘটেছে। যার মধ্যে ৭৩০ কোটি রাজ্যের শাসক দল সহ পুলিশের একাংশের পকেটে গেছে বিদেশে বেশকিছু সন্দেহজনক একাউন্টের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি ইডির।গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে এই রাজ্যের দুর্গাপুর – আসানসোল – হলদিয়া সহ দশ জায়গায় কয়লা পাচারে হাওলা সম্পত্তির সন্ধানে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি।ইডির তরফে এটিই ছিল সর্বপ্রথম অভিযান। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ওইদিনই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কয়লা পাচার মামলায় বড়সড় নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যের ‘অনুমতি’ ছাড়ায় কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে রাজ্যের যেকোনো জায়গায়।ওইদিনকার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে যথেষ্ট উজ্জীবিত ছিল সিবিআই। রাজ্যের বাইরে তল্লাশি অভিযান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের যে রাজ্যের অনুমতি আবশ্যিক ছিল।তা খারিজ হয়ে যাওয়ায় বড়সড় তল্লাশির প্রস্তুতি নেয় সিবিআই।গতবছর ১০ ডিসেম্বর কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা সিবিআই তদন্তে ‘রাজ্যের কনসেন্ট’ যুক্তি কে সামনে রেখে যে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিল।তাও ওইদিন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ শে মার্চের মধ্যে এই মামলায় সবপক্ষ দের কে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি আগামী ২৭ শে মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে সিবিআই। টানা তিনবার সমন পাঠিয়ে কোন হাজিরা মিলেনি।তাই লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে এই অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে। আসানসোলের সিবিআই এজলাসে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবার নির্দেশ দেয়। অনুপ মাঝি ওরফে লালার দায়ের করা মামলায় বিপক্ষ আইনজীবীদের মধ্যে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পাশাপাশি রয়েছেন ফিরোজ এডুলজি মহাশয়। কয়লা পাচার মামলায় যৌথ তদন্তে ‘অপারগ’ সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হয়েছিল। তারা এই আপিল পিটিশন টি প্রধান বিচারপতির এজলাসে দাখিল করে ছিল। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার রায়দানে অখুশি হয়েছ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। রাজ্যের সাথে যৌথ তল্লাশিতে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হবে।এই আশংকা রয়েছে সিবিআইয়ের অন্দরে।কয়লা পাচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে। সন্দেহভাজন পুলিশ অফিসারদের ইতিমধ্যেই দফায় দফায় জেরা চালিয়েছে সিবিআই। তাই রাজ্য পুলিশেরই গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির সাথে তদন্তে নিলে তা যথাযথ তদন্ত হবেনা বলে মনে করছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি – ‘ কয়লা পাচার মামলায় শুধু এই রাজ্য নয় দেশের একাধিক রাজ্যে সর্বপরি বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের যোগ আছে। তাই এই তদন্তে রাজ্যের যৌথ তদন্তের অনুমতি পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া কে ভূল পথে পরিচালিত করতে পারে’। অপরদিকে আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআইয়ের তরফে গরু পাচার মামলায় প্রাথমিক চার্জশিট দাখিল হয়েছে। ৬০ দিনের মাথায় গরু পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, বিএসএফের আধিকারিক সতীশ কুমার সহ ৭ জনের নাম রয়েছে। ‘তদন্ত এখনও চলছে। জেরাপর্ব অনেক বাকি’ তা উল্লেখ রয়েছে ওই দাখিল হওয়া চার্জশিটে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার দায়ের করা মামলার শুনানি চলেছিল।আসানসোলের কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালা তার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলা খারিজের যে পিটিশন দাখিল করেছিল।তা কলকাতা হাইকোর্ট ওইদিন খারিজ করে দেয়।তদন্ত সাপেক্ষে সাক্ষী সহ অভিযুক্তদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পাঠানো সমনে বৈধতা জানালেও রাজ্যের এলাকায় তল্লাশী অভিযানে গেলে সিবিআই কে রাজ্যের সাথে সহমত পোষণ ( যৌথ তল্লাসী) করে চলতে হবে বলে বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সিবিআইয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রেলের আইনে নির্বিঘ্নে তদন্ত করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্বাধীনতা নিয়ে সওয়াল করেছিলেন।ইসিএলের নিজস্ব জমিতে সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপে কলকাতা হাইকোর্ট মান্যতা দিলেও রেলের বাইরে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি আবশ্যিক বলে রায়ে উল্লেখ থাকে।এক্ষেত্রে সিবিআই কে রাজ্যের সাথে যৌথ তল্লাশিতে যেতে হবে বলে জানিয়েছিক কলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ । তবে মামলার তদন্তে গতি আনতে সাক্ষী সহ অভিযুক্তদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সমন পাঠাতে পারেন।যদিও কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার মামলা খারিজে সন্তুষ্ট হলেও রাজ্যের সাথে যৌথ তল্লাশিতে অপারগ ছিল সিবিআই । সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে মামলায় রায়দান স্থগিত হয়েছিল ।ওইদিন উভয় পক্ষের শুনানি চলেছিল। কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।অপরদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল-জবাবে এই মামলার এফআইআর খারিজে অভিযুক্ত লালা অপেক্ষা রাজ্য সরকারের আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ওইদিন এজলাসে জানতে চাওয়া হয়েছিল – ‘অভিযুক্ত রাজ্যের এলাকায় থাকলে সিবিআই কি করতে পারে’? উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের স্বতঃস্ফূর্ত কয়লা পাচার মামলায় রাজ্যের অনুমতি প্রশ্নে এফআইআর খারিজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন এই মামলায় অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। গতবছর নভেম্বর মাসে এই রাজ্যে সর্ববৃহৎ অভিযান চালায় সিবিআই। মূলত কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে।যে অভিযানে কেন্দ্রের সিআরপিএফ বাহিনী ছিল সিবিআই আধিকারিকদের নিরাপত্তা প্রদানে। কেননা কয়লা ও গরু পাচারে সবথেকে বেশি অভিযোগ রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে। গতবছর নভেম্বর মাসে সিবিআই তাদের দুর্নীতি দমন আইনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মামলা দায়ের করে থাকে। ধাপে ধাপে বিএসএফের কয়েকজন আধিকারিক সহ গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক গ্রেপ্তার হন।কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা অবশ্য ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা।তবে তদন্তের সিজ করা লিস্টে বহু নথিপত্র সহ কম্পিউটার – মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। গরুপাচার মামলায় আসানসোল সহ ব্যাংকশালের সিবিআই এজলাসে মামলা চলছে।মাঝখানে গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের নিজস্ব হেফাজত চাওয়া নিয়ে মামলা করেছিলেন। সেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই কে ৬ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরেই মধ্যে কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা তার আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দাখিল করেছিলেন।ঠিক এইরকম পরিস্থিতির মাঝে রাজ্য পুলিশের অধীনে চারজন আইপিএস সহ ইন্সপেক্টর – সাব ইনস্পেকটর পদমর্যাদাপূর্ণ আধিকারিকদের দুর্নীতি দমন আইনে তলব করেছিল সিবিআই। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার আইসি সহ কয়েকজন পুলিশকর্মী সিবিআই দপ্তরে জেরাপর্বে হাজিরাও দিয়েছেন। চলতি বছরের গত ৫ জানুয়ারি ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৬০ নং ধারা অনুযায়ী চারজন আইপিএস কে সাক্ষ্যপ্রমাণ এর জন্য তলব করে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। এই নোটিশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন দুজন আইপিএস। একজন আইজি পদমর্যাদার অপরজন ডিসিপি পদমর্যাদাপূর্ণ আধিকারিক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই মামলা গ্রহণ করেছে। এই দুজন আইপিএস গরু পাচার মামলায় সিবিআই তদন্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা টি দাখিল করেছেন। এঁদের যুক্তি -‘সিবিআই তদন্তে একাধারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি যেমন প্রয়োজন। ঠিক তেমনি সুপ্রিম কোর্ট – হাইকোর্টের অনুমতি লাগে।তবে এক্ষেত্রে কোনটাই প্রযোজ্য হয়নি’। এই দুজন আইপিএসের মধ্যে একজন মুর্শিদাবাদ জোনের আইজি ( আইবি) অপরজন আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি পদে কর্মরত।গত ৫ জানুয়ারি সিবিআইয়ের প্রেরিত হাজিরার নোটিশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা।জানা গেছে, ২০১৮ সালের আগে সিবিআই দুর্নীতি দমন আইনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মামলা দাখিল করতে পারতো। এতে কেন্দ্র ও রাজ্যের আইনী লড়াই বাঁধে।শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই কে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি কিংবা সুপ্রিম কোর্ট – হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন বলে আদেশনামায় জানায়।যদিও সিবিআইয়ের একাংশের দাবি – ‘নোটিশ মানেই সমন নয়, অভিযুক্ত হিসাবে নয় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য ডাকা হয়।গতবছর ১০ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। মূলত সিবিআইয়ের এক্তিয়ারের প্রশ্ন তোলে মামলা খারিজের পিটিশন দাখিল করেছিলেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্ট এই পিটিশন খারিজ করার পাশাপাশি তদন্তে যুক্তদের সমন পাঠানোতে বৈধতা জানিয়েছিল তবে রাজ্যের বাইরে এলাকায় তল্লাশি তে গেলে সেক্ষেত্রে সিবিআই কে রাজ্য কে সাথে নিতে হবে বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে আপিল পিটিশন দাখিল করে সিবিআই। গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বাইরে তল্লাশি অভিযানে রাজ্যের অনুমতি আবশ্যিক নয় বলে নির্দেশ দিয়েছিল । কার্যত ‘ফ্রি হ্যান্ড’ পেল সিবিআই। ২৩ শে মার্চ এর মধ্যে সব পক্ষ কে হলফনামা জমা দিতে হবে বলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল। আগামী ২৭ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা কে আগামী ৬ এপ্রিল অবধি সিবিআই গ্রেপ্তার করতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেয়।তবে অভিযুক্ত লালা কে সিবিআইয়ের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলে শর্তটি আরোপ করেছে।এই মামলার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে আগামী ৬ এপ্রিল বলে জানা গেছে।