অমাবস্যা রাতে পূর্ণিমা কাঁদে

Spread the love

অমাবস্যার রাতে পূর্ণিমা কাঁদে
ইন্দ্রানী গুপ্ত

আসলে চাঁদ বলে,আমি স্নিগ্ধ আলো দিই,
আমার হাসির বাঁধ ভেঙ্গে,
উছলে পরে আলো,
তাই শুনে অন্ধকার বলে,
আমি আছি বলেই তো তুই ভালো।
কিন্তু অন্ধরারের মধ্যেও আমি আলো দেখতে পাই…
শুক-সারির নতুন এই আলো অন্ধকারের দ্বন্দও থাকবে এই প্রকৃতির মাঝে,তাই অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে যেনও
সেই পূর্ণিমার চাঁদের কথা যেন ঝলসানো রুটি,মনে হচ্ছে যেন এই বৃষ্টি ধারা ওর চোখের জন,যেনো কান্না হয়ে ঝরে পড়ছে এই ভুবন ডাঙ্গার মাঠে…
কিন্তু কি দেখলাম??

একটা কালোমেঘ দেখছিলাম,
ঐ আকাশের গায়ে
বৃষ্টির মেঘ,
বিদ্যুতের চমকানোর মধ্যে
সেই কালো মেঘ ভাসতে ভাসতে
এলো ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি,তার সঙ্গে ধনিত হচ্ছে
গুরু গুরু ঘন মেঘের গর্জন,

আমি আবার ভালো করে,
ওই বৃষ্টির মধ্যে খুঁজতে থাকলাম,সেই কালো মেঘ,
এবার আরো ঘন, কালো মিশমিশে মেঘ,
আরো জোরে বর্ষণ,
যেমনটি আমি চেয়েছিলাম।
তারপর আবার সেই বৃষ্টির আওয়াজে
যেন শুনতে পেলাম রণ রঙ্গিনীর নৃত্য, ঝড়ো হাওয়ায়
যেন আকাশ থেকে নেমে এলো ঘুঙুরের শব্দ
আমি যেন শুনতে পেলাম
টুংটাং টুংটাং জলতরঙ্গের মিষ্টি আওয়াজ,
মনটা অন্ধকারে যেন নেচে উঠলো
বিদ্যুতের চমকে,

জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম
ভুবন ডাঙ্গার মাঠ,যেন
দেখলাম স্বর্গের থেকে যেন নেমে এসেছে
এক পরীর ঝাঁক ওই সড়কের ওপর?
কে ওরা?
এইযে শীলা বৃষ্টি হচ্ছে সাদা বরফের আস্তরণ,
মনে হচ্ছে,
রূপ কথার পরীরা অন্ধকারে নৃত্য করছে,
মাঝে মাঝে বিদ্যুতের চমক,
সেই আলোতে দেখতে পাচ্ছি স্নিগ্ধ চাঁদের আলো যেন সড়ক পথে,
বৃষ্টির ঝাপটায় জ্বানলার কাচ টা যেন আবছা,
তারপর
অমাবস্যার রাতে যেন পূর্ণিমার চাঁদ দেখলাম,
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো…হয়তো অমাবস্যায়
পূর্ণিমার চোখে জল বৃষ্টির বারি ধারায় পবিত্র করলো
এই ভুবন ডাঙ্গা..ও অপরূপ দৃশ্য যেন তুলির টানে
হৃদয়ের খাতায় আঁকা হয়ে থাকলো,
রাতের এই দৃশ্যপট দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল ,
এ যেন অমাবস্যা আর পূর্ণিমার যুগল বন্দিতে নতুন কোনও ভৈরবী রাগের শুভ বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে,
রাতের গভীরে মিলিয়ে যাবে এই আলো,কিন্তু নতুন ভোরের আলো ফুটে উঠবে আগামীর সেই বার্তা শোনার জন্য
…এসো আলো এসো হে,
তোমায় সু স্বাগতম…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *