জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
আর্থিক প্রতারণার শিকার হলো বীরভূমের সিউড়ির টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা আনিসুর রহমান, বর্তমানে সে হুগলির পাণ্ডুয়া থানার পাণ্ডুয়া রেলগেটের কাছে নজরুল পল্লী নমাজগ্রামের বাসিন্দা। প্রতারিত আনিসুর গত ১০ ই আগষ্ট পাণ্ডুয়া থানায় একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে।
তার অভিযোগ পত্র থেকে জানা যাচ্ছে গত ২ রা জুলাই দুপুর নাগাদ আনিসুরের কাছে একটি ফোন আসে। নিজেকে শুভদীপ দে বলে পরিচয় দিয়ে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় তিনি ‘ক্যাপিটাল ফিনান্স’ থেকে বলছেন। এটি কলকাতার পার্কস্ট্রীটের পার্ক হোটেলের কাছে ‘অ্যাপিজে বিল্ডিং’ এর ৭ তলায় অবস্হিত। ফোনে তাকে ৪.৫% হারে এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত লোন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং বলা হয় প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।
৩ রা জুলাই ৭৬০৫৮০৪৫০৮ নাম্বার থেকে আনিসুরকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে বলা হয়। পরে ঐদিনই ৯৮৭৪০৯২৬১০ নাম্বার থেকে মেসেজের মাধ্যমে একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে সেখানে লোনের ইন্স্যুরেন্স বাবদ দশ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয় এবং সে ফোন-পের মাধ্যমে সেই টাকা জমা দেয়। পরের দিন অর্থাৎ ৪ টা জুলাই তার কাছে ৯৮৭৪০৯২৬১০ নাম্বার থেকে একটি এ্যাপ্রুভাল লেটার ও লোন অ্যাকাউন্ট নাম্বার আসে।
তারপর ১১ ই জুলাই ৭০৬৪৮৪৪৮৭০ থেকে ফোন করে আনিসুরকে মোট লোনের উপর জি.এস.টি বাবদ ১৮% অর্থাৎ আঠারো হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয় এবং এটি ফেরত যোগ্য। আনিসুর ১৩ ই জুলাই সেই টাকা জমা দিলে একটি ব্যাংক থেকে আনিসুরের কাছে একটি মেসেজ আসে যেখানে বলা হয় লোনটি তার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। কিন্তু পাসবই আপডেট করতে গিয়ে সে তাজ্জব হয়ে যায় এবং দেখে তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা হয়নি। ক্যাপিটাল ফিনান্সের অফিসে ফোন করলে তাকে বলা হয় যেহেতু সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে তার কোনো অ্যাকাউন্ট নাই তাই তার লোনের টাকা কোম্পানির ঘরে ফেরত এসেছে। অ্যাকাউন্টের জন্য তাকে দশহাজার পাঁচশ টাকা পাঠাতে বলা হয়। আনিসুর সেই টাকাও পাঠিয়ে দেয়। তারপরও অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা জমা নাহলে সে কোম্পানির অফিসে ফোন করে। কিন্তু কোনো জবাব পায়না এবং বুঝতে পারে সে প্রতারিত হয়েছে এবং বাধ্য হয়ে পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ করে।
আনিসুরের বক্তব্য – একটা কোম্পানিকে বিশ্বাস করে এইভাবে প্রতারিত হতে হবে সে ভাবতে পারেনি। সরকারের কাছে তার অনুরোধ প্রতারকদের যেন কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।