আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের পথ সচেতনতা

Spread the love

কাজল মিত্র

আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার আসানসোলে ট্রাফিক সচেতনতায় “সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ” এর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি, পুরকমিশনার খুরশিদ আলি কাদরি, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় ও সমাজসেবী কৃষ্ণা প্রসাদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, সমাজসেবী কৃষ্ণা প্রসাদ সমাজসেবী কৃষ্ণা প্রসাদ ট্রাফিক সচেতনতায় ১ হাজার হেলমেট দেবেন। আমার সৌভাগ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ অভিযান শুরু করেছিলেন, আমি সেখানে ছিলাম। কিন্তু, তখন আমরা এই অভিযানের গুরুত্ব বুঝতে পারিনি।কিছু দিন পর থেকে আমরা তার গুরুত্ব বুঝতে পারলাম। আপনি যতই সাবধানে গাড়ি চালাই না কেন, অন্যরা সাবধানে যদি গাড়ি না চালায়, ততক্ষণ আপনি সুরক্ষিত নন। যেমন ভাবে আমরা,সরকারি নির্দেশ পালন করে গাড়ি চালাবো, তেমনি সবাইকে নিয়ম পালনে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। তারজন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই অভিযান শুরু করেছিলেন। করোনা সংকটের কারণে সাধারণ মানুষ এটা ভুলে গেছিলেন৷ পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন, স্কুলের পড়ুয়া দের নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছিলো। ইসিএল ও রেল হাজার হেলমেট দিয়েছে। এই বছর সমাজসেবী কৃষ্ণা প্রসাদ এক হাজার হেলমেট দিয়ে এইবার সচেতনতার প্রচার শুরু করেছেন৷ করোনার সংকট কম হওয়ার পরে কলেজের যুবদের লক্ষ্য রেখে সচেতনতার প্রচারে জোর দিতে হবে। আগে কেউ মাস্ক পড়তো না। এখন করোনার জন্য সবাই মাস্ক পড়ছেন। সেই রকমভাবে হেলমেট কোম্পানিগুলোকে যুবদের রুচি ও পছন্দসই হেলমেট করতে হবে। যাতে যুবরা তা পছন্দ করে ও হেলমেট পড়াটা নিজেদের ফ্যাশন মনে করে। এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের মধ্যে হেলমেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *