কাজল মিত্র
দীপ্তাংশু চৌধুরীকে এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান করার জন্য বুধবার মহিলা তৃনমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জামুড়িয়ায় এক সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে মহিলা কর্মীরা তাকে সম্মান জানান। এই অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী একসঙ্গে দুটো ভূমিকা পালন করবেন৷ এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান হিসাবে পরিবহন ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দলের জেলা পর্যবেক্ষক হিসাবে যেখানে বিধানক নেই, সেখানে দলের সংগঠন মজবুত করার জন্য লাগাতার কাজ করছেন৷ জেলায় যেখানে আমাদের দলের বিধায়ক নেই, এবার সেই সিট জিতে আমরা দিদিকে উপহার দেবো। জামুড়িয়া সিট জেতার জন্য আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতায় আমরা এই সিট জিতবো৷ ২০২১ সালে আবার জিতে যখন দিদি মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেবেন, তখন তার সঙ্গে জামুড়িয়ার বিধায়ক থাকবেন এটা আশা রাখি। কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী বলেন, আমরা যে নেত্রীর আদর্শ মেনে চলছি, আজ তার জন্যই আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি৷ তার আদর্শ মেনে যদি আমরা চলি তো, কোন রাজনৈতিক দলকে করোনা সংকটের সময় দেখা যায় নি, তেমনিই তাদেরকে ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় দেখা যাবেনা। করোনা সংকটের সময় গরীব মানুষ ও শ্রমিক দের পাশে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক ছাড়া কেউ সাহায্য করে নি৷ভোটের সময় শুধু ভোট নিয়ে সাংসদ হয়ে চলে গেলো৷ করোনা ও আমফানের মতো সংকটের সময় তার চেহারা দেখা যায় নি। ২০২১ সালে এই সিট জেতার জন্য মাতৃশক্তির সক্রিয় ভূমিকা জরুরি। তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সঠিকভাবে প্রচার করতে পারেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গরীব মানুষদের জন্য ৫০ টিরও প্রকল্প করেছেন। তিনি আরো বলেন, দিদির আদর্শ মেনে, আমরা সত্যের রাস্তায় চলতে হবে। আমরা যদি কোন ভুল করি, তাহলে তারজন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কন্যাশ্রী ও খাদ্য সাথী প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফে কোন টাকা সাহায্য করা হয় না। গত দুটো নির্বাচনে জিতে যে বিধায়ক ছিলেন, তিনি কি কাজ করেছেন, তা সাধারণ মানুষ দের বলতে হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রণাম করি। ২০২১ সালে সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। গত ১০ বছরে মমতা বন্দোপাধ্যায় যে কাজ করেছেন, তা দেশের ২৯ টি রাজ্যে হয়নি। এই অনুষ্ঠানে মহিলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভানেত্রী আলপনা বন্দোপাধ্যায়, রাখী কর্মকার, মেয়র পারিষদ পূর্ণ শশী রায়, বোরো চেয়ারম্যান শেখ সানদার উপস্থিত ছিলেন।