করোনা বিধি বজায় রেখে রথযাত্রায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

Spread the love

শ্যামল রায়,

পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুরের রথের দড়িতে  হাত লাগান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। জগন্নাথ দেব মাসির বাড়িতেই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ঘেরাটোপে পূজিত হয়।মেশোদের প্রবেশ নিষেধ।

প্রতিবছর রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক স্বপন দেবনাথ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় একটি রথ। এবছর করোনার পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষায় রথ উৎসব পালিত হল। শ্রীরামপুর গ্রামের গোপীনাথ মন্দির থেকে রথটি মাসির বাড়ি হেমাতপুরে আসে। এবছর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জমায়েত বা অনুষ্ঠান না করে শুধুমাত্র জগন্নাথ দেবকে নিয়ে মাসির বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে সরকারি নিয়ম-কানুন থাকায় রথ উৎসব মানুষের মন খারাপের মাঝেও ভালো কিছু করতে পারা গেল না। শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার জন্য জগন্নাথকে মাসির বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
আগামীতে ভালো কিছু করা যায় কিনা আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
এছাড়া ওইদিন মন্ত্রীর নিজের বাড়ির এলাকা বিদ্যানগর বাজার কমিটি পরিচালিত রথ বিদ্যানগর সংলগ্ন বিপত্তারিণী মন্দির মাসির বাড়িতে উপস্থিত হয়। শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য সেবা সমিতি পরিচালিত  রথ সম্পূর্ণভাবে মাসির বাড়িতে থাকাকালীন মাসি দের দ্বারা ভোগ পান এবং নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সেবা সমিতির সম্পাদক মনীষা বিশ্বাস এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম কর্ণধার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ বিভাস বিশ্বাস জানিয়েছেন যে মাসির বাড়িতে জগন্নাথ সুভদ্রা বলদেব থাকাকালীন সম্পূর্ণভাবে মাসিদের পরিচালিত পুজো হয়ে থাকে এখানে মেশোদের কোন প্রবেশ হয় না। এলাকার মানুষের কাছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে মাসিদের দ্বারা পরিচালিত রথ দারুণভাবে সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকার মানুষের কাছে। নিয়মানুসারে ৫৬ রকম ভোগ দিয়ে মাসির বাড়িতে আপ্যায়ন জগন্নাথ সুভদ্রা বলদেবকে।
যদিও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাসির বাড়িতে আপ্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্পাদক মনীষা বিশ্বাস। এই রথের ঐতিহ্য বজায় রাখতে এলাকার ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক স্বপন দেবনাথ সর্বক্ষণ অনেকটাই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
তবে তার নিজের হাতে পরিচালিত শ্রীরামপুরের গোপীনাথ মন্দির থেকে পরিচালিত রথ অনাড়ম্বরভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাসির বাড়ি হেমাতপুরে যায়। তবে মন খারাপ যারা রথের দড়ি টানতে পারেনি। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন আগামী কে সকলের মনের আশা পূরণ করে দেব। অথচ এই এলাকার দুটি রথ কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে এবং নানান ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে জগন্নাথ দেবকে নিয়ে। এবছর করোনার পরিস্থিতিতে বাঁধ পড়ল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *