জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
কথায় আছে ‘নিজের গাঁয়ে মেধো, ভিন গাঁয়ের মধুসূদন’। একজনকে অন্য গ্রামের মানুষজন যত গুরুত্বই দিক না কেন নিজের গ্রামের মানুষের কাছে খুব একটা পাত্তা সে পায়না। কিন্তু সেই ‘মেধো’কেই নিজের গ্রামের মানুষ যখন সম্মাননা প্রদান করে সেটা তখন অন্য মাত্রা পায়।অন্য অনুভূতি এনে দেয়। সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ পেলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক ধীমান রায়।
করোনা আবহে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্য কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক, আশা কর্মীদের সঙ্গে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে গেছে পুলিশ, সিভিক ভলেনটিয়ার, রেশন ডিলার ও সাংবাদিকরা। এদের বলা হচ্ছে ‘করোনা যোদ্ধা’। সরকারের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে এদের সম্মান জানানো হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন ‘ভাতাড় বিদ্রোহী সংঘ’-এর পক্ষ থেকে এরকমই যে ২৫ জন ‘করোনা যোদ্ধা’ কে সম্মাননা প্রদান করা হয় তাদের অন্যতম ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ধীমান রায়। ক্লাবের পক্ষ থেকে তার হাতে একটি মানপত্র, মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে তিনি কাটোয়া, মঙ্গলকোট, ভাতাড়, আউসগ্রাম ব্লকে দীর্ঘ চোদ্দ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
নিজের গ্রাম থেকে এই সম্মান পেয়ে খুব খুশি ধীমান। তিনি বললেন – সাংবাদিক হিসেবে এর আগে অনেকবার মানপত্র পেয়েছি। কিন্তু চোদ্দ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে নিজের গ্রাম থেকে মানপত্র পাওয়া একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়।এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা খুবই কঠিন। তিনি আরও বলেন – এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয় সমস্ত সংবাদ জগতের স্বীকৃতি।
ক্লাব সম্পাদক সুজয় দে বললেন – ধীমান আমাদের গ্রামের গর্ব। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে সে এলাকায় ঘুরে ঘুরে খবর সংগ্রহ করেছে, মানুষকে সচেতন করেছে তাতে আমরা গর্বিত। আগামী দিনে আমাদের এলাকার আরও ‘করোনা যোদ্ধা’-কে সম্মান জানানোর ইচ্ছা আমাদের আছে।