গোপাল দেবনাথ
ইলিশ মাছের নাম শুনলেই বাঙালির জিভে জল আসবেই। সে বাংলাদেশের মানুষ হোক বা আমাদের প্রিয় পশ্চিমবঙ্গের। সেই ইলিশ মাছ যদি বাংলাদেশের হয় তা হলে কেমন হয় তা আশাকরি নতুন করে বলতে হবে না। বাংলাদেশের ইলিশ মাছ স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। ইলিশ মাছ নিয়েও যে একটা উৎসব করা যেতে পারে সেই কথা প্রথম মাথায় আসে বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী পরেশ পাল মহাশয়ের। আজ ইলিশ উৎসব ১৬ তম বর্ষে পদার্পন করলো। সাধারণ ভাবে এই ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠিত হতো প্রতি বছর আগস্ট মাসে। কিন্তু এই বছর বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে গত আগস্ট মাসে সার্বজনপ্রিয় ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি। বহু সাধারণ মানুষ থেকে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ইলিশ উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। মাছের বাজারে ইলিশ মাছের বড্ড বেশি দাম থাকার কারণে এবং বাংলাদেশের ইলিশ মাছের স্বাদ পাওয়ার জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষা করেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বিধায়ক পরেশ পাল সারা বছর ধরেই নানান ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। কখনো সুভাষ মেলা আবার কখনও দুঃস্থ মেয়েদের গণ বিবাহ। এ ছাড়াও আরো অনেক অনুষ্ঠান আছে। এখন বহু জায়গায় ইলিশ উৎসব হলেও এই রাজ্য তথা এই দেশে প্রথম ইলিশ উৎসবের প্রচলন করেন পরেশ বাবু। এই ইলিশ উৎসব কে সফল করতে বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের হাই কমিশনার জনাব তৌফিক হাসান ৪০০ কিলো পদ্মার ইলিশ মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রথমে লোকসঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মেলা প্রাঙ্গনে চলছিল নৃত্যানুষ্ঠান। কাঁকুরগাছি এ পি সি পার্কের ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র জনাব ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আত্মিক যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্রীমতি স্মিতা বক্সী, প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী সঞ্জয় বক্সী, রাজ্যের মন্ত্রী শ্রী নির্মল মাজি, মন্ত্রী শ্রীমতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শ্রী সুজিত বসু, বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের হাইকমিশনার জনাব তৌফিক হাসান, হাইকমিশনের কউন্সিলর জনাব জামাল হোসেন। মোহন বাগান ক্লাবের অন্যতম পরিচালক শ্রী বাবন ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার ভারপ্রাপ্ত কউন্সিলর শ্রী স্বপন সমাদ্দার, উদ্যান বিভাগের প্রধান শ্রী দেবাশীষ কুমার, শ্রী রাজেশ খান্না, শ্রী রতন দে, শ্রী আশুতোষ দাস, শ্রী অনিন্দ্য কিশোর রাউৎ, শ্রীমতি অলকানন্দা দাস, সমাজসেবী শ্রী রাজু নস্কর, শ্রী গোপাল নারেডি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রত্যেক বক্তা বিধায়ক পরেশ পালের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আজকের এই ইলিশ উৎসব সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে আয়োজন করা হয়। ভিড় এড়াতে এলাকার উৎসবের কুপন সংগ্রহকারি মানুষের হাতে খাবারের পার্সেল তুলে দেওয়া হয়।