কাটোয়ায় অবাধে চলছে বালিপাচার?

Spread the love

কাটোয়ায় অবাধে চলছে বালিপাচার?

নিজস্ব প্রতিনিধি , 

সন্ধের পর থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া এলাকায় বালির গাড়ির দৌরাত্ম ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গেছে।  কাটোয়ার অজয় নদে রাজুয়া এলাকায় চলছে অবৈধ বালিঘাটটি ।এছাড়া অন্য জায়গাতেও রয়েছে বলে জানা গেছে। দিনে প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকায় রাতের দিকে বালি তোলার কাজ চলে চরমে।কাটোয়ার সিপাহদিঘী মোড় সংলগ্ন   চরকি ব্রিজ থেকে চুড়পুনি এলাকার মধ্যে পড়ে অজয় নদের রাজুয়া বালিঘাট টি।কাটোয়া শহর সংলগ্ন এবং কেতুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অজয় নদের বেআইনী বালিঘাট রয়েছে বলে শোনা যায় । বৈধ ঘাট গুলি আবার যত পরিমাণ জায়গা জুড়ে  অনুমোদিত থাকে,তার থেকে তারা বেশি জায়গা জুড়ে বালি উত্তোলন করে বলে অভিযোগ।   বেশ কয়েকটি বালিঘাটের লিজ শেষ হয়ে গেছে। যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাংশ এলাকাবাসী জানাচ্ছেন , -‘রাতের অন্ধকারে রীতিমতো জেনারেটার চালিয়ে  চলছে বালি উত্তোলন।শয়ে শয়ে ভিজে বালির গাড়ি সিপাহদিঘী ( যাজিগ্রাম)  হয়ে কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে পাঁচঘড়া মোড় থেকে চলে যায়’ । এইসব জায়গায় ‘লাল চেয়ারে’ বসা ব্যক্তিরা এইসব বালির গাড়ি থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। নিশ্চিন্তে বালির গাড়ি যেতে গেলে এইসব ব্যক্তিদের অর্থ দিতেই হয় বলে চালকদের বড় অংশ জানাচ্ছেন। তা না হলে মাঝ পথে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়!  মূলত এই গাড়ি গুলি কলকাতাগামী পুরাতন জিটি রোডে বেশি দেখা মেলে। স্থানীয় ভূমি সংস্কার দপ্তরের তরফে প্রায় অভিযান চলে।কখনো সড়কপথে,আবার কখনো বা বালিঘাটে।তবে অভিযানের খবর বালিলুটে রাঘববোয়ালদের কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে যায়। বেশ কয়েকটি গাড়ি আটক কিংবা কয়েকটি এফআইআর দাখিল ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়না বলে অভিযোগ। জানা গেছে বিভিন্ন সরকারি অফিসের চত্বরে বালিলুটে যুক্তদের লোকজন ঘুরাঘুরি করে।বিভিন্ন সড়কপথের মোড়ে ‘ইনফরমার’  থাকে।উল্লেখ্য,  একদা এই কাটোয়া – কেতুগ্রাম এলাকায় বেআইনী বালি উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদা পূর্ন অফিসার আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেসময় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও উঠে।এমনকি অফিসারদের সংগঠন রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক অফিস নবান্নে অভিযোগ পর্যন্ত জানায়।পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেআইনী বালিঘাট নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।প্রসঙ্গত,  অজয় নদের বালিলুট নিয়ে কাটোয়া – কেতুগ্রাম – মঙ্গলকোটে বেশ কয়েকজন খুন পর্যন্ত হয়েছেন।এইসব খুনের তদন্তে স্থানীয় থানার পুলিশ থেকে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকেও দেখা গেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *