চিত্তরঞ্জন ঢুকবার রাস্তা বেহাল, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

Spread the love

কাজল মিত্র,

চিত্তরঞ্জন এর সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় নামকেশিয়া কালীমন্দিরের লোকেদের যাওয়া-আসার ভীষন অসুবিধা যার ফলে স্থানীয় কিছু মানুষের ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ বিষয়ে তারা সালানপুর ব্লক অফিস, সালানপুর থানা, সহ চিত্তরঞ্জন প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন যাতে খুব শীঘ্রই এই গেট খুলে দেওয়া হয় তা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।এই রাস্তা বন্ধ থাকার ফলে নামকেসিয়া সহ জিতপুর,রামপুর, কল্যানগ্রাম,
নামকেসিয়া গ্রামের লোকেদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
নামকেসিয়া গ্রামের এক স্কুল ছাত্রী রিনা কুমারী জানান আমাদের নামকেসিয়া গ্রামের সকলেই চিত্তরঞ্জন এর উপর নির্ভরশীল কারন আমাদের নামকেশিয়ার সকলকে বাজার হাট,স্কুল কলেজ, ডাক্তার খানা, হাসপাতাল সবটাই এই চিত্তরঞ্জন এর উপর নির্ভর শীল করতে হয় কারন সালানপুর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার চিত্তরঞ্জন শহরের লাগোয়া এই গ্রাম,এই গ্রামে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা আর এই রাস্তা বন্ধ হবার ফলে চিত্তরঞ্জন হয়ে যেতে হয় তা হলে আমাদের জঙ্গল পথে 5 কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।চিত্তরঞ্জন ও নামকেসিয়া মাঝের এই পকেট গেট লকডাউন এর ফলে তিনমাস বন্ধ করা হলেও লকডাউন উঠে গেলেও এখনও এই গেট খোলা হয়নি যার ফলে অসুবিধাই পড়েছে গ্রামের মানুষেরা ।
গ্রামের এক ব্যবসায়ী কার্তিক চৌধুরী জানান আমি চিত্তরঞ্জন আমলাদহী বাজারে মাছের দোকান করি আর আমাদের চিত্তরঞ্জন যাবার রাস্তা এই একটাই তা নাহলে বহু ঘুর পথে আমাদের যেতে হয়।এই রাস্তা দিয়ে পাঁচ হাজার মানুষের রোজ যাওয়া আসা কিন্তু চিত্তরঞ্জন প্রশাসন অন্যান্য গেট গুলি খুলি দিলেও নামকেসিয়া গ্রামের এই গেট টি এখনো খোলেনি যার ফলে বহু মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা ।
আমরা সালানপুর ব্লক প্রশাসন , সহ চিত্তরঞ্জন এর প্রশাসনকেও লিখিত জানিয়েছি যেন আমাদের এই নামকেসিয়া যাওয়ার গেটটি খুলে দেওয়া হয় কারন এই গেট চিত্তরঞ্জন কারখানার শুরু থেকেই খোলা ছিল কিন্তু চিত্তরঞ্জন কতৃপক্ষ জানিয়েছিলেন করোনার ভাইরাসের কারনে যে লকডাউন করা হয়েছিল তার জেরেই তিন মাস এই রাস্তা বন্ধ থাকবে বলেছিল কিন্তু তিনমাস পেরিয়ে লকডাউন খুলে গেলেও যাতায়াতের এই রাস্তা এখনো খোলা হয়নি ।তাই অসুবিধার মধ্যদিয়ে সকলকে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে।তাই আমরা চিত্তরঞ্জন প্রশাসনের কাছে একসপ্তাহ সময় চেয়েছি তাও যদি না খোলে তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।চিত্তরঞ্জন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানতার সিং জানিয়েছেন নামকেসিয়া গ্রামের বাসিন্দারা ডিজিএম কে একটি লিখিত দিয়েছেন তবে সমস্ত ব্যাপারটি খোঁজ খবর নিয়েই তাদের এই অভিযোগ দেখা হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *